নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর জ্বালানী তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং সীমান্ত নিরীহ বাংলাদেশ নাগরিকদের হত্যায় গভীর উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সভাপতি, ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. শাহাদাত।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জাগপা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভোটারবিহীন সরকার জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের হৃদয়ের উপর মরণাঘাত করছে। সীমাহীন দুনীর্তি ও ক্ষমতা অপব্যবহারকে ঢেকে রাখার জন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তেলে আগুন, বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষক—শ্রমিক মেহনতি মানুষরা দিনরাত পরিশ্রম করে বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে হতাশ হয়ে যেটুকু প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। গরীবের বছরে কোরবানির ঈদ না আসলে গরুর মাংস কপালে জোটে না। মাছ—মাংস তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। একারণে নিম্নশ্রেণীর মানুষদের শিশু—সন্তানরা অপুষ্টিতে ভুগে রোগাআক্রান্ত হচ্ছে। এ দায় সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারে না।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সরকারের সমর্থনপুষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট কিছু দিন পরপর কোন কারণ ছাড়াই মূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। জ্বালানী তেলের মূল্যবিৃদ্ধর ঘটনায় ইতিমধ্যে যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। যারা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।”
জাগপা নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সকল দুনীর্তিবাজ ব্যববসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ সীমান্ত হত্যা নিয়ে বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নতজানু আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত সরকারকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।