মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
বর্ষার প্রবল স্রোতের কারণে বার বার পদ্মা সেতুতে ফেরী ধাক্কা লাগায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটের ফেরী বন্ধ রাখে কতৃপক্ষ। পরে শরীয়তপুর মঙ্গল মাঝীর ঘাটকে ফেরী ঘাট হিসেবে চালুর করার সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহনের পরেও নাব্যতা সংকটের কারণে মাঝীর ঘাট থেকে ফেরী চালানো সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ ৪৭ দিন ফেরী বন্ধ থাকা পর আবার শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটের উদেশ্যে ছেড়ে আসে ফেরী কুঞ্জলতা। সোমবার ৪ অক্টোবর ১১ টার দিকে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরী কুঞ্জলতাসহ দুটি ফেরী গাড়ি নিয়ে চলাচল শুরু করে। এতে শরীয়তপুর-মাদারীপুর দিয়ে যেসব পন্যবাহী ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান, ব্যাক্তিগত গাড়ি, পাবলিক পরিবহন, এ্যাম্বুলেন্সসহ সকল ধরনের গাড়িচালক ও যাত্রীরা খুশি হয়েছেন। এছাড়া যেসব শ্রমিকরা ফেরীঘাটে শ্রম বিক্রি করে রুটিরোজগারের ব্যাবস্থা করেন তাদের মনে বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ। ফেরী চলাচল দেখার জন্য প্রচুর পরিমান উৎসুক জনতা ভীর করেছে ঘাটে। দীর্ঘদিন ফেরীঘাটটি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন এ ঘাট ব্যাবহারকারীরা। ফেরী কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঠালবাড়ি বাংলাবাজার ঘাটে ২ঘন্টা ১১মিনিটে এসে পৌছায়। নদীতে ফেরী চলাচলের বিষয়টি কুঞ্জলতা ফেরির মাষ্টার সাইফুল ইসলাম আমাদের কে নিশ্চিত করেন, ফেরিটিতে ৭ টি প্রাইভেট কার, ৭ টি পিকাপ, ৩ টি কার্ভাড ভ্যান ও ২০ টি মটর সাইকেল ছিলো বলে জানান তিনি। এছাড়া ফেরীটি পার হতে দুই ঘন্টার বেশি সময় লাগার ব্যাপারে তিনি বলেন নদীতে অনেক স্রোত ও নাব্যতা সংকটের কারনে ফেরি চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়, তাছাড়া দীর্ঘ ৪৭ দিন এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে।