নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভাচুর্য়াল ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২১, ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রাঙ্গণ এবং হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে ভাচুর্য়ালি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আ
ওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, সারা দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশিবার জাতিসংঘ অধিবেশনে দেশের পক্ষে ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য আমরা গর্বিত, বাংলাদেশ গর্বিত। তিনি জাতিসংঘ থেকে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। হবিগঞ্জের বীর সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শহীদ শাহ এ এম এস কিবরিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর খুনিদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ। তিনি বলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড। সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করতে পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে সু—সংগঠিত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ^ দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন বলেই আমরা ভাচুর্য়াল সম্মেলন আয়োজন করতে পেরেছি। তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। কোন অশুভ শক্তি উন্নয়নের ধারাকে রুখতে পারবে না। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আফজালুর রহমান বাবু, তিনি বলেন, সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রঃ) এর অনুসারী সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত খোয়াই, করাঙ্গী সুতাং, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক জনপদের নাম। ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। সৈয়দ হবিব উল্লাহ নামানুসারে কালক্রমে তা হবিগঞ্জে পরিণত হয়। ইংরেজ শাসনামলে ১৮৬৭ সালে হবিগঞ্জকে মহকুমা ঘোষণা করা হয় এবং ১৮৭৮ সালে হবিগঞ্জ মহকুমা গঠনকরা হয়। আসাম প্রাদেশিক সরকারের ২৭৩ নং নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১৮৯৩সালের ৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ থানা গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) এর অফিস স্থাপিত হয় এবং সর্বশেষ ১৯৮৪ সালের ০১ মার্চ (১৭ ফাল্গুন ১৩৯০ বাংলা) জেলায় উন্নীত হয়। ৯টি উপজেলা হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ এবং অনেক নদ—নদী বেষ্টিত ঐতিহাসিক হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আজকের ত্রি—বার্ষিক সম্মেলন। তিনি সম্মেলনে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ঈর্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করায় নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ ও ‘মুকুট মণি’ উপাধিতে আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রাউন জুয়েল ও মুকুট মণি উপাধিতে আখ্যায়িত করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. আলহাজ¦ মোহাম্মদ আবু জাহির এমপি, মাননীয় বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, অ্যাড. মাহবুব আলী এমপি, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য, অ্যাড. আব্দুল মজিদ খান এমপি, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, অ্যাড. আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ—সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, অ্যাড. মাহফুজা বেগম সাঈদা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোবাশে^র চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব, সদস্য অ্যাড. পিযুষ দেবনাথ চৌধুরী, অ্যাড. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী ফুয়াদ, সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান, সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফয়জুল বশির চৌধুরী সুজন। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ—সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, নির্মল চ্যাটার্জী, মুজিবুর রহমান স্বপন, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, সৈয়দ নাসির উদ্দিন, কাজী মেয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাড. মানিক কুমার, ড. মোহাম্মদ জমির উদ্দিন শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আরিফুর রহমান টিটু, শাহ জালাল মুকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, কেন্দ্রীয় উপ—দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. মোঃ মনির হোসেন, রাহুল দাস ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ আফসার আজিজ, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, মৌলভী বাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ নজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক রাব্বি।