নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে বলেন অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বরিশাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
আহত ইউপি সদস্যের নাম জহিরুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ইউপি সদস্য জহিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ১৯টি আঘাত রয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই এলাকার গোলাম সরোয়ার ওরফে সবুজের নেতৃত্বে এ হামলা হয়।
ইউপি সদস্যের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে জহিরুল ইসলাম বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামে ফিরছিলেন। বেলা তিনটার দিকে মোটরসাইকেলটি ভাতশালা বাজার অতিক্রমের সময় স্থানীয় গোলাম সরোয়ার ওরফে সবুজের নেতৃত্বে বারেক মোল্লা, মহিউদ্দিন মোল্লা, সোহেল মোল্লা, রনি মোল্লা, মানিক মোল্লাসহ অন্যরা মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জহিরুল ইসলামকে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আহত জহিরুলের ছোট ভাই ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম বলেন, একটি হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া স্থানীয় গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে এর আগেও গোলাম সরোয়ার ও তাঁর সহযোগীরা একাধিকবার জহিরুলের ওপর হামলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। গতকাল জহিরুলকে হত্যার জন্যই প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়।
শের-ই -বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক নাজিবুল হক বলেন, সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন বাকেরগঞ্জের ওই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘গোলাম সরোয়ার এবং ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের মধ্যে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্বে জহিরুলকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’