নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে গরু চুরির অভিযোগে বৃদ্ধা মা ও তরুণী মেয়ের কোমরে রশি বেঁধে এলাকা ঘোরানো এবং মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে জাতীয় নারী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেছেন প্রকাশ্যে রশিতে বেঁধে পেটাতে পেটাতে গ্রামে ঘোরানো এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আবার চেয়ারাম্যানের মারধর করার বিষয়টি ন্যক্কারজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সোমবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের সমন্বয়কারী শান্তা আক্তার, যুগ্ম সমন্বয়কারী মতিয়ারা চৌধুরী, প্রভাশিকা শিউলী সুলতানা ও রিভা আক্তার এ দাবী জানান।
তারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরনা করা মা-মেয়ের মুক্তি লক্ষে সরকারকে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রæত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একজন চেয়ারম্যান কর্তৃক অসহায় মা-মেয়েকে গরু চুরির নিষ্ঠুর মিথ্যা অপবাধে সারা দেশের মানুষ তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। অন্যায় অত্যাচার সহ্য করবে সাধারণ জনগণ এই ধরনের লম্পট, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন, নিকৃষ্ট নেতাদের কাছ থেকে এটা হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই ঘটনাটি শুধু একটি ইউনিয়নের না। বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান তাদের নিজের মতো করে জনগণকে অত্যাচার করে। বাংলাদেশের প্রতিটি সাধারণ মানুষের জানা আছে যে বর্তমানে নিকৃষ্ট নেতাদের কাছ থেকে সাধারণ জনগণ কতটা হয়রানির শিকার হয়। বড় বড় অন্যায়ের যথাযথ বিচার না হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধিরা যাচ্ছেতাই ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। যে কেউ তার ইচ্ছামত আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। অথচ এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ আইনের তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছামত মা ও মেয়েকে নির্যাতন করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এবং দ্রæত চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তারা বলেন, ধিক্কার জানাই চেয়ারম্যান পরিচয়ী নরপশুর। চকরিয়ার হারবাং ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে যা হয়েছে, এসবে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাই। গরু চুরির অভিযোগে ব্যাপক মারধর করা, দিনদুপুরে প্রকাশ্য জনসম্মুখে দুইজন নারীকে রশি দিয়ে বেঁধে ঘুরানো হয়েছে প্রচলিত আইন থাকা সত্বে এটি কিভাবে সম্ভব?