নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাঙালি জাতির জন্য আগস্ট মাস একটি রক্তঝরা মাস। মানুষ যুগাপযোগি পৃথিবী ছেঁড়ে একদিন চলে যাবে। কিন্তু বাঙালি জাতির ১৫ আগস্টের কালো চিত্রটি ইতিহাস থেকে কখনো বিকৃত করার নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যা কান্ডের ৩৪ বছর পর বৃহস্পতিবার এ হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে। ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব ছাড়াও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরও ২৬ জন।
এধরনের ঘতকদের নির্মম অত্যাচারে, বঙ্গ পরিবারকে শূণ্য রাখার ব্যাপক পরিকল্পনা ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের। মহান আল্লাহর অসীম রহমাতে শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও সজিব ওয়াজেদ জয় দেশের বাহিরে থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যায়। এজন্যই দেশাত্ববোধক গানে বলা হয়- “যদি রাঁত পেহালেই শোনা যেঁতো, বঙ্গবন্ধু মরে নাই! জাতির পিতা মরে নাই, তাহলে আমরা ফিরে পেতাম ঐ জাতির পিতা” আজও পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায় ও অবিস্মরণীয়।
জানাগেছে , বঙ্গবন্ধুর একমাত্র আদর্শের সৈনিক ও নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার মেধাবী তুখোর ছাত্রলীগের সংগ্রামী নেতা সাংগঠনিক সম্পাদক-সোহলে রানা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কল্যাণের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সর্ব সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি একজন সৎ নির্ভীক ও সততার সাথে মানুষের ভালোবাসায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, অনেক অংশে সুনাম অর্জন করেছেন। আলোকিত বৈচিত্রময় জীবন থেকে মাটি ও মানুষের জন্য, ছাত্র জীবন থেকে হাঁসি আনন্দে কাটিয়েছেন। আরও জানাগেছে, দেশের মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে, তাঁর নিজ জন্মভূমি সোনারগাঁয়ের গঙ্গপুর বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে । খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ প্রদানসহ নানা সেবামূলক কাজে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সূত্রমতে জানাগেছে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ কমিটিতে মেধা ও সততা যোগ্যতা সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে ‘সোহেল রানাকে’ নির্বাচিত করেছেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা। সে হিসেবে সোহেল রানা ব্যক্তি মননশীল ন¤্র-ভদ্র ও গুনগ্রহী একজন আদর্শের মানুষ। সূত্রমতে, জেলার প্রতিটি কার্যক্রম থেকে শুরু করে, দলীয় রাজনৈতিকের অঙ্গ-সংগঠনের প্রতিটি অংশে তাঁর স্মৃতিচারন রয়েছে। এবং দলের ভাবমূর্তিকে উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে, জেলার বিভিন্ন প্রকার সামাজিক উন্নয়ণ মূলক কর্মকান্ডে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও ব্যাপক ভাবে সহযোগীতা করে যচ্ছেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, আমি পেশায় একজন ছাত্র, আওয়ামীলীগ পরিবারকে অনেক ভালোবাসি। ১৫ আগস্টের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেসহ সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। তাই আগস্টের কালো দিনটি এলে আমাদের রক্তে মাংশে প্রতিটি অংশে শিউরে উঠে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস গুলো। তিনি বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন আওয়ামীলীগ পরিবারকে হৃদয়ের স্পন্দন দিয়ে ভালো বেঁসে যাবো। সবচেঁয়ে বড় কথা আমি নীতি নৈতিকতাকে অনেক পছন্দ করি। সোহেল বলেন, ছাত্র জীবন থেকে এখন পর্যন্ত পার করেছি আওয়ামীলীগের আদর্শ বুকে ধারণ করে। আমি ছাত্রলীগের জেলার সাংগঠনিক পদ পেঁয়েছি অনেক সততার সাথে, এবং মানুষের এক মুঠোয় ভালোবাসায়। কখনও অবৈধ অর্থের জন্য রাজনীতি করি না। সঠিক ভাবে যদি দলকে ভালো বাসতে হয়, তাহলে দেশের একমাত্র নীতি নৈতিকতা ঠিক রাখতে হবে। এধরনের দলের স্বার্থে মূল্যমান দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন সোহেল।