নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপ-মহাদেশের মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪৯তম বার্ষিকী শুক্রবার (২২ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধকালি দীর্ঘদিন ভারতে থাকার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের নয়নমণি মওলানা ভাসানী এ দিন স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ১২ দিন পর ঢাকায় পত্রপত্রিকায় মওলানা ভাসানীকে নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি শুরু হলে ভারত সরকার বাংলাদেশে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মওলানা ভাসানীকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন। তখন তার স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিলো না।
দিল্লী থেকে দেশে ফেরার আগে তিনি আসামে ২১ জানুয়ারি ১৯৭২ আসামের ফরিদগঞ্জে তিনি এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দীর্ঘ ইতিহাস, পাকিস্তানের বর্বরতা ও ২৩ বছরের শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরদিন ২২ জানুয়ারি মেঘালয় থেকে তিনি ভারত সরকারের একটি জীপে বাংলাদেশের হালুয়াঘাটে পৌঁছেন। তার সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। হালুয়াঘাটে মহান নেতা মওলানা ভাসানীকে মামুলি অভ্যর্থনা জানিয়েছিল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক খসরুজ্জামান চৌধুরী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও তার ভক্তমন্ডলী।
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১১ ১২ টায় নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মরহুমের প্রতিকৃতিতে পষ্পস্তব অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।