শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব ধানুকা, পশ্চিম ধানুকা, মধ্যপাড়া, উত্তর মধ্যপাড়া, হুগলী, মনোহর বাজারসহ বৃহত্তম এই ওয়ার্ড।
শরীয়তপুর পৌরসভা ১৯৮৫ সালে স্থাপিত হয় বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান যাওয়ার পরে আধুনিক সময়ে কয়েকজন মেয়র নির্বাচিত হয়ে সময় পার করলেও পৌরসভা উন্নয়নের ঠিক ঠাক সময় কেউই পাচ্ছেননা।
এর মধ্যেও পৌরসভার খাল, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা রাস্তার কিছু উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু ০৭ নং ওয়ার্ডটি বরাবরই রয়ে গেছে অবহেলিত।
বিশাল এ ওয়ার্ডটিতে অনেকেই হয়েছেন মেম্বার ,কাউন্সিলরও হয়েছেন দুজন। বর্তমান সরকারের সারাদেশে পৌরসভার উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাঁসাতে পারেনি শরীয়তপুর পৌরসভার এই ০৭নং ওয়ার্ডটি।
ওয়ার্ডটিতে রয়েছে জেলা স্টেডিয়াম, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ১৯৭১ সালের শহীদদের গণকবর মহিলা কলেজসহ সরকারের বিভিন্ন দাপ্তরিক অফিসসহ রয়েছে বানিজ্যিক বিশাল গরুর হাট। ০৭ নং ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার, ওয়ার্ডটি শহরের মধ্যে হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বাইরের চাকুরীজীবি পরিবার মিলে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষের বাস। এতো মানুষের বসবাসের এ ওয়ার্ডটিতে এখনো রয়েছে সেই পূরণো সাঁকো মেঠোপথ। পাঁকা সড়ক যা তৈরী হয়েছিলো অতীতে।
বর্তমানে সেগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
তাছাড়া রাস্তা ঘাট, নিরাপদ পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিক ল্যামপোস্ট স্থাপন, পয়ঃ নিস্কাশন ব্যাবস্থা, ডাস্টবিনসহ অন্যেন্য নাগরিক সুবিধা নেই বললেই চলে।
পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে এসে বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আমির হোসেন শিকদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বৃহত এ ওয়ার্ডটির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করবেন, সরকারের দেওয়া সব সুবিধা তিনি নিতে পারবেন, কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি রয়ে গেছে প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কাউন্সিলরের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হলেও হয়নি সাত নং ওয়ার্ডটির বিন্দু মাত্র কোন পরিবর্তন।
অন্যেদিকে কাউন্সিলর পদ ব্যাবহার করে গড়েছেন টাকার পাহাড় তার আওতায় গরুর হাট, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ গড়ে তুলেছে বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
কাউন্সিলর নির্বাচনে, নির্বাচনী সংবিধান লঙ্ঘন করে দু-হাতে খরচ করছেন টাকা। এ অবৈধ অর্থের উৎস জানতে চায় সচেতন মহল।
৭নং ওয়ার্ডটির রাস্তা ঘাট নির্মান, নিরাপদ পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিক ল্যামপোস্ট স্থাপন, পয়ঃ নিস্কাশন ব্যাবস্থা, ডাস্টবিনসহ অন্যেন্য নাগরিক সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আমির হোসেন শিকদার বলেন, এখন আমাদের সকল কাজ মেয়র দেখভালো করেন এখন ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো কাজ নেই।
এবিষষয়ে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, কাউন্সিলররা ঠিকঠাক মতো অফিসে না আসলে পৌরসভার কার্যক্রমের খোঁজ খবর না রাখলে নিজ এলাকা কিভাবে উন্নয়ন করবেন।