সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবীতে নন-এমপিও সংগঠনের মোর্চা “সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’’ এর উদ্যোগে ৯ম দিনের শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মোঃ সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ৯’ম দিনের লাগাতার অবস্থান কার্যক্রম শুরু হয়।
উক্ত কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর, শিক্ষা বিভাগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারী ও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের সেক্রেটারী ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়া, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নুরুন্নবী আকন্দ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত সরকারের রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার। তিনি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় দ্রুত এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলামের নিকট ফোন আলাপ করে তাকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘স্বীকৃতি’ই এমপিওভুক্তির মানদন্ড ধরে দ্রুত এমপিওভুক্ত করতে অনুরোধ করেন।
বিশেষ অতিরি বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের অভুক্ত রেখে সুনাগরিক গড়া সম্ভব নয়। শিক্ষকরা পবিত্র মাহে রমজানে কষ্ট করে রাজপথে থেকে দাবি আদায়ের যৌক্তিক আন্দোলন করছেন। তিনি দ্রুততার সহিত দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষা সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নন-এমপিও সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ দবিরুল ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ মনিমুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ ইমরান বিন সোলায়মান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মোঃ এরশাদুল হক, সমন্বয়ক সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবুলসহ আরো অনেকে।