শেরপুর জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকায় জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই পাচার কালে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুসুমহাটি বাজার এলাকায় (২২ জানুয়ারি) বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২০২৫ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের বিনামূল্যে বিতরণের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবই পাচারকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)’র তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্টো ড-১১-৮৩৯২ নং ট্রাকে বহনরত অবস্থায় ৯ হাজার পাঠ্যবই জব্দ করেছে শেরপুর সদর থানার পুলিশ।
সেই সাথে মো. মাইদুল হোসেন (৩৫) নামে এক বই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মাইদুল হোসেন কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার কেরুয়ারচর গ্রামের জনৈক হারেজ আলীর ছেলে।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে ওই ট্রাকে বহনরত অবস্থায় জাতীয় শিক্ষাক্রমের ২০২৫ সালের সরকারি ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার পাঠ্যবই কুসুমহাটি বাজার এলাকায় সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব পাঠ্যবই জব্দ করেছে।
এসময় পাঠ্যবই পাচারের সাথে জড়িত থাকার দায়ে মো. মাইদুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এদিকে ট্রাকটির চালক সজল জানিয়েছেন, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বাজার এলাকার সংঘবদ্ধ পাঠ্যবই পাচারকারী দলের সদস্যরা তার ওই ট্রাকটি ঢাকায় বই পাচারের জন্য ভাড়া নেয়। পরে তারা চালানপত্র না দেওয়ায় সন্দেহ হলে স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাকে জানায়।
পরে ওই কর্মকর্তার নজরে আসার পর সদর থানার পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্সসহ বইগুলো জব্দসহ ওই পাচারকারী দলের সদস্যকে আটক করা হয়। অপরদিকে, বইগুলো জব্দ হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে এমনটাই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যে, যেখানে নতুন বছরের জানুয়ারি শুরুতে সরকার শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্য বই বিতরণের কাজ করছে এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বই পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল করিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।