তারা ৬৯-এর গণআন্দোলনের বীর সেনানী শহীদ আসাদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবল ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই সিমিত নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান প্রকৃত অর্থে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সোপান রচনা করেছিল।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে ঘরমুখো করেছিল, আর ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সেই বাঙালিকে তার ঘরের ঠিকানা খুঁজে দিয়েছিল। স্বাধিকারের ঢিমেতাল আন্দোলন ঊনসত্তরের ২০ জানুয়ারি আসাদের শাহাদাতের পর সহসাই গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘১৯৬৯’র প্রচন্ড গতিবেগই বস্তুত ’১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে। এসকল বিচারে এটা নিঃসন্দেহে বলা চলে এদেশের মানুষের সা¤্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ’৬৯ একটি বড় মাইলফলক। আসাদ তাই জনগণের মুক্তির প্রেরণা আর ঊনসত্তর মুক্তির দিশারী।’
তারা আরো বলেন, ‘কথায় কথায় এবং বক্তৃতা-বিবৃতিদানের সময় প্রায়শই আমরা বলি, আবেগভরা কণ্ঠে খুব গর্বের সঙ্গে বলে থাকি জাতীয় চেতনার কথা। কিন্তু মনের মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক হতেই পারে যে জাতীয় চেতনার এই গৌরব-গরিমা ও আবেগকে আমরা মনেপ্রাণে কতটুকু লালন ও ধারণ করি?’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘শহিদ আসাদ ও ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা বীরত্বগাথাসহ জাতির আন্দোলন-সংগ্রাম ও উত্থানের সঠিক ইতিহাস জানার কোনো বিকল্প নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে গণ-অভ্যুত্থান ও শহীদদের আত্মবলিদান নতুন প্রজন্মের কাছে অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’