অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, আনোয়ারের অফিস কক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক পরিমাণ অবৈধভাবে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সাংবাদিকদের বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে কথা বলতে গেলে, তাঁর নেতৃত্বে থাকা পালিত সন্ত্রাসী ঠিকাদার ‘শাহজাহান ও রিপন’ নামের ৭-৮ জনের একটি উচ্ছৃঙ্খল পেটুয়া বাহিনীর কাছে সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে তাঁদের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরার লক্ষে, ওই সকল অভিযুক্ত পেটুয়া বাহিনী অফিস কক্ষে ডেকে এনে ভূয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে ভিডিও ধারনের মধ্যে দিয়ে হেনস্থা’র চেষ্টা। তাঁদের এমন অসৎ আচরণ লক্ষ্যে করে। সাংবাদিকরা অফিস কক্ষে বুঝেও না বুঝার নাটকীয়তায়, ভদ্র এবং মাধূর্যতার আচরণ টেরপেয়ে তারা আরও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তাঁদের এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে। তারা নানাভাবে হয়রানির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় তারা প্রকৃত গণমাধ্যমের রুপরেখা টেরপেয়ে, নানাভাবে খানাপিনা বাঁ আপ্যয়নের কথা বলে রাজি না হওয়াতে একপর্যায় দ্রুত সময়ে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন ওই অভিযুক্ত পেটুয়া বাহিনী।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে সাইফুর রহমান। বিতর্কিত সাবেক এই প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আনোয়ার শিকদারকে। যে নিয়োগটি প্রায় ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে দেয়া হয়েছে বলে চাউর রয়েছে।
এরপর থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঘিরে শুরু হয় আনোয়ারের রাজত্ব। তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলীর সহচার্যে এসে রপ্ত করেন ঘুষ গ্রহণ আর ঠিকাদার জিম্মির নানান কৌশল। শিষ্যকে ছায়াহীন করে দিতে নারাজ জনস্বাস্থ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। অঙ্ক কষে তাঁর তৃতীয় মেয়াদে কে হবেন জনস্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ পদে আসীন,তাঁর অধীন প্রকল্পে অনোয়ারকে ইস্টিমেটর হিসেবে বদলি করা হয়। ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ’ নামক ওই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার কোটি টাকা। যেটি তৎকালীন সময়ে জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় প্রকল্প। কালক্ষেপনে সেই ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) তুষার মোহন সাধু খাঁ এখন জনস্বাস্থ্যের প্রধান প্রেকৗশলী।
আনোয়ারের বেপোরোয়া দাপটে রীতিমতো অস্থির জনস্বাস্থ্য। সাবেক বিতর্কিত প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের অগ্রজ তুষার মোহন সাধু খাঁ অনোয়ারকে দিয়ে চালান তাঁর সকল অপকর্ম।
আরও জানাগেছে, তাঁর স্ত্রী’র নামে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে, দপ্তরের কাজ ভাগিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেন তিনি। এধরনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্র বলছে ২০২০ সালে তিনি এই কর্মস্থলে যোগদান করার পরপরই বেঁড়ে যায় তাঁর ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের পরিধি। তেমনি বনে গেছেন বাড়ি-গাড়ি, ফ্লাট নামে বেনামে অর্থসহ অঢেল সম্পদের মালিক।
এবিষয়ে দৈনিক বাংলাদেশ সময় এর স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল হালিম নিশাণ অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আনোয়ার হোসেন সিকদারের বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগ সূত্রে প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ তাঁর অফিস কক্ষে সাংবাদিকরা একাধিকবার বিচার বিশ্লেষণের জন্য গেলে, অফিসে তাঁর কখনো দেখা মেলেনি। এমতাবস্থায় তাঁর সরকারি মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, হ্যাঁ আপনি আমাদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আনোয়ার হোসেন সিকদারের বিরুদ্ধে একটি চিঠি দিয়েছেন, সেটি আমি হাতে পেয়েছি। পেয়ে আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। ওরা আগে রিপোর্টটা নেউক, তারপরে আমি ব্যবস্থা নিব।