সমাজ সেবা ও মানবতার কল্যাণে মরহুম ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফজলুল হক এক কিংবদন্তির নাম। তিনি ছিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা। তাঁর অভাব কখনো পূরণ হবার নয়, তিনি সমাজ ও মানবসেবাকে নিজ জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সর্বদা চিন্তায় মগ্ন থাকতেন কিভাবে সমাজ ও মানবতার কল্যাণ করা যায়। তাঁর মত মানবহিতৈষী প্রয়াণে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বক্তারা এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য; কিংবদন্তির সংগঠক, সমাজ রূপ কল্পক সংস্কারক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হক না ফেরার দেশে চলে গেছেন ৩০ নভেম্বর ২০২৪। তাঁর হৃদয়ের বোধের সৃষ্টির মাঝে বিদ্যমান ছিল লক্ষ কোটি ভালবাসার সৃষ্টির অলিন্দ। ভালোবাসার সেই আপনার মানুষটি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক আবেগ ময় স্মরণ করলেন তাঁর আত্মজনরা। তাঁর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে, ধানমন্ডির ড্যাফোডিল প্লাজার একাত্তর মিলনায়তনে স্মরণ দোয়া ও শোক সমাবেশে। সেলাই খুলে যাওয়া বোতামের মতো আমরা সবাই এদিক ওদিক ছিটকে পড়ছি — ফজলু ভাই ছিলেন আমাদের অদৃশ্য সুতো।
শোক, স্মরণ সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড্যাফোডিল ফ্যামেলির সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান।
সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী শফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন—উর—রশীদ, বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ডা. মুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সরদার এ. নাঈম, আইডিবি এর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কবির হোসেন, কুমিল্লা সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কবির আহমদ বিদ্রোহী দ্যা নজরুল সেন্টার এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, মরহুম ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক এর সন্তান মোঃ লুৎফুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
পবিত্র কোরান তেলাওয়াত করে ক্বারী মুমিনুল হক। শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।