শেরপুর নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়ায় অঞ্জনা ঝর্ণা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বালুদস্যুরা সমশ্চুড়া অঞ্জনা ঝর্ণার কোচপাড়া, ঝুড়ারপার, দেওয়ানগঞ্জে পাড়া, জাঙ্গালপাড়া, কালাপানি, এলাকায় ৮/১০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে, এ ঝর্ণা থেকে দিনেরাতে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এসব বালু উত্তোলনের পর ট্রলিও মাহিন্দ্র যোগে এনে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে সমশ্চুড়া বাজার ও আশপাশের এলাকার সীমান্ত সড়কে।
এখান থেকে দিনে রাতে ট্রাক ভর্তি করে বিক্রি করা হচ্ছে বালু। স্থানীয়রা জানান, অঞ্জনা ঝর্ণা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক বালু অবৈধভাবে উত্তোলন ও বিক্রি করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি ট্রাক বালু ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই অঞ্জনা ঝর্ণা থেকে বালু লুটপাট শুরু হয়।
অভিযোগে প্রকাশ, সমশ্চুড়া এলাকার ইউপি সদস্য নবী হোসেন, মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ, তোয়ালকুচি গ্রামের জামিরুল ইসলাম, তারা মিয়া ও লক্ষিকুড়া গ্রামের আশরাফ আলীর নেতৃত্বে ১৫ /২০ জনের একটি সিন্ডিকেট এসব বালু লুটপাটের ঘটনার সাথে জড়িত।
বালু লুটপাটকারিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না।
একারণে উপজেলা প্রশাসনও নিবর ভুমিকা পালন করে আসছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ সুবাদে বালু উত্তোলনকারীরা বেপরোয়া ভাবে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছেন।
ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এতে অঞ্জনা ঝর্ণার সমশ্চুড়া স্লুইসগেটটি বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ার পাশাপাশি কোচপাড়া হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনের সাথে জরিত সমশ্চুড়া এলাকার ইউপি সদস্য নবী হোসেন বলেন বালু উত্তোলন করে সাধারণ কিছু শ্রমিক চলছে। এছাড়া কদিন পরেই স্লুইসগেইটের পানি আটকানো হলে আর বালু উত্তোলন করা যাবে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে ফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।