বুধবার (২৭ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, একজন হিন্দু নেতাকে গ্রেফতার ও জামিন না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে একজন আইনজীবী যেভাবে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে তা খুবই নিন্দনীয় এবং অনতিবিলম্ব এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
প্রশাসনের উচিত কোনোভাবেই কালবিলম্ব না করা এবং এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্ভাব্য সকল দিক খতিয়ে দেখে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে দেশে যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। কোনো সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী অপশক্তিই যেন এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে—সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। গণভ্যুত্থানের আকাঙ্খা পূরণ এবং বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আরও বলেন, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ধর্মান্ধতার বলি হয়েছেন চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাই। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের অপতৎপরতা বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদকে উসকে দিচ্ছে। হিন্দু কিংবা মুসলিম—যেকোনো ধর্মান্ধ অপশক্তি গণতন্ত্র ও প্রগতির শত্রু।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের গুরুদায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান, সকল ধর্মান্ধ অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ধর্মীয় বিভাজন নয়, শ্রেণি বিভাজনের ভিত্তিতে শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে সকল শোষিত মানুষের মুক্তির সংগ্রাম জোরদার করুন।