জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস বলেছেন মওলানা ভাসানী দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর সাথে রাজপথে লড়াই করেন। তিনি গণতন্ত্র ও পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানী শাসকের হাতে বার বার নির্যাতিত ও কারাবরণ করেছেন।
১৯৭১’র ১০ এপ্রিল প্রবাস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শ ও তার ভূমিকাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান এবং সাংবিধানিকভাবে মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি তুলেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ভাসানী’র উদ্যোগে (১৭ নভেম্বর) রবিবার সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ভিআইপি লাউঞ্জে মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী, তার রাজনৈতিক ভূমিকার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সভাপতি স্বপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব হামিদা খাতুন সেলির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি সিলেট জেলার কৃতিসন্তান নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে সিলেট জেলাকে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য মওলানা ভাসানীর অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী বাকশালের একনায়কতন্তের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী গণতন্ত্রের পক্ষে ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়াও তিনি সকল সময় আধিপত্যবাদীর বিরুদ্ধে তিনি বলে ছিলেন সিকিম নয়, ভূটান নয়, এদেশ আমার বাংলাদেশ।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মওলানা ভাসানীর অনুসারীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।