নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হল গণতন্ত্র, গণতন্ত্র ও সুশাসন না থাকলে উন্নয়ন ব্যর্থ হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বর্তমানে দেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চলছে। ফলে সরকার নিয়ন্ত্রন করছে লুটেরা গোষ্টি। যা রাষ্ট্রের জন্য কোন কল্যাণকর বিষয় নয।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর ) রাজধানীর বাংলাধেম শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলণায়তনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আয়োজিত “মহান বিজয় দিবস-২০২০” উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভা এবং শাহাদাতপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকলে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটতে বাধ্য। তৃতীয় কোনো গণতান্ত্রিক দলের আগমন হলে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। সরকারকে বুঝতে হবে, গণতান্ত্রিক শক্তি উত্থানের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সেখানে অশুভ শক্তি আর্বিভাব ঘটে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পরিবর্তন প্রয়োজন, কিন্তু পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা কাদের ক্ষমতায় আনতে চাই সেটাও নির্ধারন করতে হবে। এক লুটেরার পরিবর্তে আরেক লুটেরাকে ক্ষমতায় বসালে জনগনের কোন লাভ হবে না। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, এই ৪৯ বছরে বাঙালি জাতির অনেক বড় প্রাপ্তি ঘটেছে। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো আমাদের স্বাধীনতা। আমরা যে আমাদের জীবনে এই স্বাধীনতা দেখে যেতে পারব, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করত না। কিন্তু বাংলাদেশ সত্যি সত্যিই স্বাধীন হয়েছে। একটা স্বাধীন–সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে।
এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাগপা সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেস মহাসচিব এডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণ রাজনৈতিক জোটের সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোঃ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, এনডিএম যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, হুসেইন মোঃ শাহাদাত, যুগ্ম বিভাগীয় সম্পাদক সানোয়ার হোসেন শানু, নির্বাহী সদস্য মোঃ মোমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ছাত্র আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা জুয়েল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এনডিএম যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, আজ আমরা যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি, শ্রদ্ধার সাথে স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ এবং অবদান স্মরণ করছি, তখন দূর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের মানুষের নাগরিক মর্যাদা ভুলন্ঠিত। সভা-সমাবেশ আয়োজনে পুলিশি অনুমতির বাধ্যবাধকতার অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত সরকারের ভেতরের হাইব্রিড আর চেতনান্ধ গোষ্ঠীকে খুশি করতেই নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েই সরকারি দলের নেতারা একের পর এক অস্থিরতা তৈরি করছে। স্বাধীনভাবে বক্তব্য দেবার গণতান্ত্রিক অধিকার আলেম হোক বা সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেই সংরক্ষণ করে৷ মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনা আজ ভোটচুরি, দূর্নীতি, আর গুম-খুনের রাজনীতির কাছে পরাজিত। অন্যদিকে, বিএনপির ব্যর্থ রাজনীতি, তারুণ্যের সাথে কথিত “প্লান-বি” নামক প্রতারণা, বিরোধী দলের নামে জাতীয় পার্টির তামাশা, আর এক বিশেষ গোষ্ঠীর নাস্তিকতার রাজনীতি দেখে বাংলাদেশের মানুষ আজ হতাশ। এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে এবং বিজয়ের লক্ষ্য অর্জিত হতে হলে সমাধান খুঁজতে হবে রাজপথে। নূন্যতম আদর্শিক মিল আছে এমন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ বা যুগপৎ আন্দোলনই পারে জনগণকে নতুন আশার আলো দেখাতে।