স্টাফ রিপোর্টার,গাইবান্ধা♦♦
পলাশবাড়ী সরকারি খাদ্য গুদাম (গোডাউন) থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল ও ১৫ টাকা কেজি দরে ফেয়ার কার্ড এর চালগুলোর সিংহভাগ পঁচা,ঘুলা ও দূর্গন্ধযুক্ত চালের ভাত খাওয়ার অনুপযুক্ত।
এসব পঁচা ও ঘুলা চাল সরকারি খাদ্য গুদামে কিভাবে ঢুকে এ প্রশ্ন ভুক্তভোগী সহ সচেতন অভিজ্ঞ মহলের।
গরু,ছাগল, হাঁস-মুরগী যে চাল খেতে চায়না সেই চাল খাওয়ানো হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানদের..। ভুক্তভোগী সহ সচেতন অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন..? যারা এসব ঘুলা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল দরিদ্র মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছেন.. ওইসব কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এসব চাল এর ভাত কোনোদিন খেয়ে দেখেছিলেন কি..?
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল,৮নং মনোহরপুর ও ৯নং হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ হতে ঈদ উপহার হিসেবে ১০ কেজি হারে দরিদ্র মানুষের জন্য ভিজিএফ এর সিংহভাগ এসব দুর্গন্ধযুক্ত খাবার অনুপযুক্ত চাল বিতরণ করতে দেখা যায়।
আর এসব চাল এর ভাত খেয়ে পেটের পীড়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হবে বলে চিকিৎসকরা জানান।
আবার অনেকে এ চালগুলো খাবার অনুপযুক্ত হওয়ায় ব্যাপারীদের নিকট স্বল্প মূল্যে বিক্রি করতেও দেখা গেছে। আবার এই চালগুলো হাতবদল হয়ে খুচরা ব্যাপারীর কাছ থেকে গোডাউনে সরবরাহকারী ব্যবসায়ী/ডিলারগনের মাধ্যমে ৯/৬ করে আবার সরকারি খাদ্য গুদামে চলে যাবে.. । শুধু বস্তা থাকবে নতুন আর চাল হবে খাবার অনুপযুক্ত.. ঠিক যেনো মাক্কাল ফল..উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট..। অবস্থা এমন আম জনতা খেলে খাও..না খেলে না খাও।
একইদিন ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের সাবদিন নতুন বাজার,বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল,৭নং পবনাপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটে ১৫ টাকা কেজি দরে ফেয়ার কার্ড এর সিংহভাগ চালগুলোর একই অবস্থা দেখা যায়।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী এবং সচেতন অভিজ্ঞ মহল পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়টি পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান’কে অবগত করলে তিনি এধরনের দুর্গন্ধযুক্ত খাবার অনুপযুক্ত চাল বিতরণ বন্ধ করবেন বলে জানান।