নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক গাজায় গণহত্যা বন্ধ, ফিলিস্তিনিদের মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, উন্নত নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই উৎপাদন ও সম্পদ বেড়ে চলছে। এখন অন্যায় কমিয়ে এবং ন্যায় বাড়িয়ে আইন কানুন উন্নত করলে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই সব মানুষ খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সব রাষ্ট্রেই এই সাফল্যের ফল ধনিক বনিকদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এর ফলে সর্বত্রই মানুষে মানুষে বৈষম্য বাড়ছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের বৈষম্য বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের যুদ্ধবাদী নীতি নিয়ে চলছে। পৃথিবীর যে কোন স্থানে যুদ্ধ ঘটেছে এবং ঘটছে তাতে দেখা যায় পশ্চিমা আধিপাত্যবাদী শক্তিগুলো অন্যায় যুদ্ধকে অস্ত্র, অর্থ এবং কূটনীতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যুদ্ধকে সম্প্রসারিত করে চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ইউরোপের সকল রাষ্ট্রের ইহুদিদের স্থায়ীভাবে বসত করতে দিয়েছে। এর জন্য ফিলিস্তিনি জনসাধারণকে সৈন্যবাহিনীর দ্বারা সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রচ্যুত করেছে। ফিলিস্তিনিরা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতে কোনো রকমে বেঁচে আছে। ফিলিস্তিনিরা চায় তাদের মাতৃভূমি ফিরে পেতে। গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে একতরফা সামরিক আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। এখানেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অনুসারী অপশক্তিগুলোকে সব রকম সামরিক সহায়তা দিয়ে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা রাখতে চাইছে। জাতিসংঘ অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে চলছে । মানবজাতিকে যুদ্ধমুক্ত হতে হবে। যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল সকল মানুষের কর্তব্য এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিবাদ জানানো। পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিগুলোকে যুদ্ধবাদী কর্মনীতি বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘকে সংস্কার করে কার্যকর রূপ দিতে হবে। গাজায় ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা ইউক্রেনের যে যুদ্ধ চলছে, অবিলম্বে তারও অবসান চাই।
এম এ আলীম সরকার আরো বলেন, আমরা জাতিসংঘের নিকট ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য আহ্বান করছি এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য অনুরোধ করছি। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষকে মাথাপিছু দশ টাকা করে ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা দানের প্রস্তাব করছি। ১৭ কোটি মানুষ ১০ টাকা সম্মানিত করে সহায়তা করলে ১৭০ কোটি টাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ তহবিল হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাবলে কার্যকর করলে এটা সম্ভব হবে। শুধুমাত্র চারটি মোবাইল কোম্পানির সাথে চুক্তি করলে অল্প সময়ের মধ্যে এই তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। ২০২৩ সালে বিটিআরসির পরিসংখ্যানের সর্বশেষ তথ্যমতে দেশে প্রায় ১৯ কোটি ৩৬ লক্ষ গ্রাহক আছে। প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে দশ টাকা করে কেটে নিলে প্রায় ১৯৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি মনে করে ফিলিস্তিনিদের জন্য বাংলাদেশ সরকার মানবিক সহায়তার এই উদ্যোগটি গ্রহণ করলে জাতির কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের জনসাধারণকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ফিলিস্তিনি জাতিকে রক্ষার জন্য দল মত ধর্ম বর্ণের উর্ধ্বে নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলি পণ্য বর্জন করার দাবি জানান।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা হারুন-অর- রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, উন্নত নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই উৎপাদন ও সম্পদ বেড়ে চলছে। এখন অন্যায় কমিয়ে এবং ন্যায় বাড়িয়ে আইন কানুন উন্নত করলে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই সব মানুষ খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সব রাষ্ট্রেই এই সাফল্যের ফল ধনিক বনিকদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এর ফলে সর্বত্রই মানুষে মানুষে বৈষম্য বাড়ছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের বৈষম্য বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের যুদ্ধবাদী নীতি নিয়ে চলছে। পৃথিবীর যে কোন স্থানে যুদ্ধ ঘটেছে এবং ঘটছে তাতে দেখা যায় পশ্চিমা আধিপাত্যবাদী শক্তিগুলো অন্যায় যুদ্ধকে অস্ত্র, অর্থ এবং কূটনীতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যুদ্ধকে সম্প্রসারিত করে চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ইউরোপের সকল রাষ্ট্রের ইহুদিদের স্থায়ীভাবে বসত করতে দিয়েছে। এর জন্য ফিলিস্তিনি জনসাধারণকে সৈন্যবাহিনীর দ্বারা সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রচ্যুত করেছে। ফিলিস্তিনিরা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতে কোনো রকমে বেঁচে আছে। ফিলিস্তিনিরা চায় তাদের মাতৃভূমি ফিরে পেতে। গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে একতরফা সামরিক আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। এখানেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অনুসারী অপশক্তিগুলোকে সব রকম সামরিক সহায়তা দিয়ে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা রাখতে চাইছে। জাতিসংঘ অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে চলছে । মানবজাতিকে যুদ্ধমুক্ত হতে হবে। যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল সকল মানুষের কর্তব্য এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিবাদ জানানো। পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিগুলোকে যুদ্ধবাদী কর্মনীতি বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘকে সংস্কার করে কার্যকর রূপ দিতে হবে। গাজায় ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা ইউক্রেনের যে যুদ্ধ চলছে, অবিলম্বে তারও অবসান চাই।
এম এ আলীম সরকার আরো বলেন, আমরা জাতিসংঘের নিকট ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য আহ্বান করছি এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য অনুরোধ করছি। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষকে মাথাপিছু দশ টাকা করে ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা দানের প্রস্তাব করছি। ১৭ কোটি মানুষ ১০ টাকা সম্মানিত করে সহায়তা করলে ১৭০ কোটি টাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ তহবিল হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাবলে কার্যকর করলে এটা সম্ভব হবে। শুধুমাত্র চারটি মোবাইল কোম্পানির সাথে চুক্তি করলে অল্প সময়ের মধ্যে এই তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। ২০২৩ সালে বিটিআরসির পরিসংখ্যানের সর্বশেষ তথ্যমতে দেশে প্রায় ১৯ কোটি ৩৬ লক্ষ গ্রাহক আছে। প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে দশ টাকা করে কেটে নিলে প্রায় ১৯৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি মনে করে ফিলিস্তিনিদের জন্য বাংলাদেশ সরকার মানবিক সহায়তার এই উদ্যোগটি গ্রহণ করলে জাতির কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের জনসাধারণকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ফিলিস্তিনি জাতিকে রক্ষার জন্য দল মত ধর্ম বর্ণের উর্ধ্বে নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলি পণ্য বর্জন করার দাবি জানান।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা হারুন-অর- রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Tags: গাজায়