নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦ সীমান্ত হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া লাশের মিছিল।
গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে রাজশাহী সাহেব বাজারে আসলে পুলিশ বাধাঁ দিয়ে প্রতীকী লাশ, ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে যায় এবং হানিফ বাংলাদেশীকে লাঞ্ছিত করে।
লাশের মিছিল বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা উপজেলা প্রদক্ষিণ করে যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। পুলিশের বাধাঁয় কর্মসূচি বিরতি ঘোষণা করছেন হানিফ বাংলাদেশী। কয়েকদিন পরে আবার লাশের মিছিল শুরু করবেন।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের মর্টার শেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালেও আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে সব সময় বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি ,হতে পারে এরা গরু চোর চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে দলই এসেছে, সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, বিদেশী অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ের উপর খবরদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের আগ্রাসন দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবেনা। বাংলাদেশের মানুষ আর্ত মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মসূচিতে অন্য ৩ জন হলেন এনইউ আহমেদ, সৌরভ হোসেন বেলাল,মো আরিফ।
Tags: সীমান্ত