মহসিন রেজা শরীয়তপুর:
একজন মানুষ গড়ার কারিগর যখন তার কর্ম সংশ্লিষ্ট অফিসে কোন কাজ করাতে যান আর সেখানে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছে হয়রানির শিকার হন তখন সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, আর এ অবস্থায় একজন শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো ব্যাবহার কিংবা ক্লাস নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে।
সেরকমই ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ১০৮ নং সুবচনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালিমা খাতুন পুতুলের সাথে।
শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রোকন উদ্দিনের দূর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন।
এই অফিস সহায়ক রোকন উদ্দিনের দূর্নীতি থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগ, বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হালিমা খাতুন পুতুল নামের এক সহকারী শিক্ষক। তার অভিযোগ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ ভর্তির অনুমতি গ্রহন করার জন্য রোকন উদ্দিনের কাছে যাওয়ার পর দুই হাজার টাকা দাবি করেন তিনি, সার্ভিস বই বাঁধাইয়ের জন্য এক হাজার টাকা দাবি করে যেখানে ১০০/১৫০ টাকা লাগে একটি সার্ভিস বই বাঁধাই করতে। মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য তার এক সহকর্মীর কাছে বেতনের অর্ধেক টাকা দাবি করেন রোকন উদ্দিন।
এছাড়া শিক্ষক বদলী, জিপিএফ ফান্ড খোলা ডিপিএফ ট্রেনিংসহ একজন শিক্ষকের যেকোনো ধরনের অফিশিয়াল কাজ করতে গেলে টাকা ছাড়া কোনো কাজই তিনি করেননা।
এদিকে শিক্ষিকা আরো উল্লেখ করেন তাদের সাথে প্রায় সময়ই খারাপ ব্যাবহার করেন অফিস সহায়ক রোকন উদ্দিন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরই উপজেলা অফিসে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে এবং প্রত্যেক শিক্ষককেই এরকম হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় কেউ প্রতিবাদ করে কেউ প্রতিবাদ না করেই ঘুষ দিয়ে কাজ সেরে নেন বলে জানাযায় শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে।
অভিযোগ পত্র দাখিলের বিষয়ে হালিমা খাতুন পুতুল জানান, আমি সবসময় অন্যায়ের বিপক্ষে আছি, রোকন উদ্দিন আমার কাছে ঘুষ চেয়েছে তাই আমি সঠিক বিচারের আশায় অভিযোগ পত্র দিয়েছি এবং ডিপিও স্যারের কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ আমি হাতে পেয়েছি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, রোকন উদ্দিন যদি উল্লেখিত অপরাধে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।