নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর মাধবদীর পাইকারচর ইউনিয়নের পাইকারচর গ্রামের খোকনের ভাড়া নেওয়া টেক্সটাইল মিলে এক কিশোরকে ‘হাত-পা’ বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
সারোজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় জবর মিয়ার মিল ভাড়া নিয়ে খোকন দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে। আহত টেক্সটাইল শ্রমীক জীবন তাঁর মিলে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসতেছিল।
গত তিনদিন কর্মস্থলে না যাওয়ায় তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে মাথা নিচে, পা উপরে উল্টো ঝুলিয়ে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে। এবং অনেক মারপিট করে বলে অভিযোগ করে জীবন ও তাঁর পরিবার।
পরবর্তীতে সকালবেলা শিকল দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখলে তাঁর পরিবার ও স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনা ধামাচাপা য়েওয়ার চেষ্টা করে অপরাধীরা। পরবর্তীতে তাঁদের নির্যাতনের ধারণকৃত ভিডিও ১৮ দিন পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং নিন্দার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত জীবনের পিতা জানায়, আমি দিনমজুর মাটি কেটে জীবনের রুটি রুজি কামাই করতে হয়। ভাই আমার কোন বাড়ি ঘড় নাই,মানুষের বাড়িতে পলিথিক দিয়ে ঘর বানিয়ে থাকি। আমার নিরীহ ছেলেটাকে ধরে নিয়ে এভাবে নির্যাতন করে, আমি বিচার চাইতে গেলে আমাকে উল্টো মামলার হুমকি দিচ্ছে। এখন কি করব?
ভূক্তভোগী জীবন জানান, তাঁরা আমাকে মেরে ভয় দেখিয়ে চুরির কথা স্বীকার করিয়েছে, অথচ আমি চুরি করেনি। আমি তিনদিন যাবৎ কাজে যাইনি, মেশিন নষ্ট প্রডাকশন হয়না,এই আমার অপরাধ।
জানাগেছে, দুইটি টিভিতে নিউজ হওয়ার পর মাধবদী থানা পুলিশ জব্বারকে গ্রেফতার করে, পরে জীবনের বাবা বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২। তারিখ ২৯-৯-২০২৩। বর্তমানে জীবন নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন বিছনায় কাতরাচ্ছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত জব্বর মিয়া গ্রেফতার থাকায় এবং আসামী পলাতক থাকায় কথা বলা যায়নি।
এ বিষয়ে মাধবদী থানার (ওসি) কামরুজ্জামান জানায়, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না, তবে যেহেতু সম্প্রতি আপনাদের নজরে এসেছে। আমি মামলা নিয়েছি, মুল আসামীকে গ্রেফতার করেছি, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।