আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
জ্বীন তাড়ানোর নাম করে তাবিজ কবজ দিয়ে প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের (১৬ ঘড়িয়া) এলাকার মতিয়ার ও তাঁর স্ত্রী কথিত মহিলা ফকির পাপুলী বেগম দম্পতির বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নানান ধরনের রোগী দেখেন পাপুলী বেগম ! ড্রাগ লাইসেন্স তো দূরের কথা! নেই কোন ডাক্তারি সার্টিফিকেট,নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা,এরপরও অদৃশ্য জীনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার নাম করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে। জনসাধারণের কাছ থেকে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ব্যাপক অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন এ দম্পতি।
বান কাটলেই নাকি ৫ হাজার টাকা দিতে হয় তাঁদের ! এছাড়াও কিশোর কিশোরী যুবক যুবতী মহিলাদের প্রেম সংক্রান্ত এবং সংসার জীবনে অশান্তি ছাড়াও নানা ধরণের সমস্যা সমাধানে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অদৃশ্য কথিত জ্বীনের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানান পাপুলী বেগমের স্বামী মতিয়ার রহমান।
বিশেষ করে সপ্তাহে অন্যান্য দিনগুলোর মধ্যেও মঙ্গলবার ও শনিবার উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে পাপুলী বেগমের বাড়িতে।
এব্যাপারে সেবা নিতে আসা বেশকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রোগ ভালো হবে কিনা জানি না,তবে জ্বীনের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা পাবো সে ভরসায় এসেছি।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতারণা করে টাকা নেয়া অবশ্যই আইনত অপরাধ! এ বিষয়টা আমি অবগত নই!
তবে এলাকাবাসী অবশ্যই এ ধরনের প্রতারণা থেকে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।