আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
স্বামী-স্ত্রী’র দ্বন্দ্বে কলহের জেরে জামাইয়ের ঘরবাড়ি ভাংচুর,মারপিট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে শ্বশুর এন্তাজ আলী গং। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের লোকমানপুর গ্রামে। থানায় অভিযোগ।
অভিযোগ ও সরেজমিনে প্রকাশ,ওই গ্রামের আঃ রশিদ মিয়ার ছেলে শাহাদুল ইসলাম প্রায় দুই বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ির এন্তাজ আলীর মেয়ে তানমিন আক্তার কে। ঘরসংসার করাকালে স্বামী স্ত্রী’র মধ্যে দ্বন্দ্ব কলহ চলছিল।
এরই একপর্যায়ে তানজিন গর্ভবতী হলে গত প্রায় এক মাস আগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক কন্যা জন্ম দান করে। প্রসূতি ও সদ্য নবজাত শিশু কন্যা অসুস্থ হলে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে গত ২৬ আগষ্ট হাসপাতালে ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছেলের বৌয়ের সাথে শ্বশুর আঃ রশিদ মিয়ার কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা হয়।
আর এরই ধারাবাহিকতায় ও পূর্ব শত্রুতার জেরে তানজিনের পিতা এন্তাজ আলী সহ ৮/১০ জনের একদল লোক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জামাইয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরবাড়ি ভাংচুর,বাড়ির লোকজনকে মারপিট করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তবে অভিযুক্ত এন্তাজ আলী বাড়িতে না থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে,বাড়ির অন্যান্য লোকজন জানায় এ বিয়ে মেনে নিতে পারছিলো না শাহাদুলের বাবা মা ও পরিবারের সদস্যরা। তাই কারনে অকারণে তানজিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে আসছিলো। আর এ সবকিছুর দায়ভার শ্বশুর এন্তাজ আলীর উপর চাপানোর জন্য তারা নিজের বাড়ি ঘরের সামান্য টিনের বেড়া ও টিনের দরজা ভেঙে ঘটনাটি ভিন্নখাতে চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আঃ রশিদ মিয়া গত ২৭ আগষ্ট পলাশবাড়ী থানায় একখানা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।