নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
সিদ্ধিরগঞ্জে রুবেল প্রধান নামের এক ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে বিএনপি পন্থী বানিয়ে ফেস্টুন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি শব্দ উচ্চারণ করে ফাঁসানোর চেষ্টা !
রবিবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতের আধাঁরে হিরাঝীলের বাসিন্দা রুবেল প্রধান (২৭) পিতা সৈয়দ আহম্মদ প্রধানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমান-জিয়াউর রহমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের ছবি ব্যবহার করে ফেস্টুন আকাড়ে রাস্তার অলিগলিতে বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়ে দেয়া হয়।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে নীরহ রুবেলের পরিবার-পরিজন বিষয়টি দু:খ প্রকাশ করেন। হিরাঝীল বাসিও হঠাৎ রুবেলের ফেস্টুন চিত্রটি দেখে, অনেকে থমকে যান।
ফেস্টুনে শব্দ উচ্চারণ লিপি গুলো ছিল-‘এক দফা এক দাবি ফ্যাস্টিক হাসিনা তুই কবে যাবি’। এতে করে রুবেলের আত্মীয়-স্বজন এবং তাঁর বন্ধু মহল কিংবা পাড়া প্রতিবেশীর কাছে নানা প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হয়েছে। রুবেলও কিছুটা মানুষিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ইতিপূর্বেও তাঁর শক্র পক্ষ- মো: দেলোয়ার হোসেন মোল্লা(৪৬), মো: মাসুদ মোল্লা(৩৪) ও মো: নয়ন মোল্লা(৪২) উভয় পিতা মোস্তফা মোল্লা, সাং ভূমিপল্লী বন্ধন টাওয়ার দ্বিতীয় তলা, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা নারায়ণগঞ্জকে জেলা শাখার ডিবিকে দিয়ে গত শুক্রবার রাত ১২ ঘটিকার সময় হয়রানির চেষ্টা ! তাঁদের এহেন কর্মকাণ্ডে উপায় না পেয়ে মূলহোতা দেলোয়ার চক্রটি, আজ রবিবার বিকল্প প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মহলে ফেস্টুন সাঁটিয়ে বিএনপি পন্থী বানিয়ে ভোগান্তির পায়তারা রুবেলকে।
এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের কাছে জানাগেছে, রুবেলের পরিবার নিয়ে হিরা টাওয়ারে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে যাচ্ছেন। তাঁরা মূলত নীরহ খেটে খাওয়া ব্যবসায়ীক পরিবার। তাঁদের কখনোই কোন রাজধানীর সাথে দেখা যায় নায়। তাঁদের চিটাগাংরোড ইউএস মার্কেটে নিজস্ব রংয়ের দোকান আছে বলে জানান।
এবিষয়ে রুবেলের পিতা সৈয়দ আহম্মদ প্রধান সাংবাদিকদের জানান, আমাদের স্থানীয় বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। আমি এলাকায় এক সময় আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত ছিলাম। তৎকালীন সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। সে আমলে বিএনপির হামলা-মামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে। এখন চিটাগাংরোড ইউএস মার্কেটে আমার নিজস্ব ব্যবসা রংয়ের দোকান ছেলে সন্তান নিয়ে পরিচালনা করে থাকি। এ ব্যবসা দিয়েই আমার পরিবার চলে। আমার ছেলে রুবেল দিনভর দোকানে সময় দেয়। রাতে বাসায় ঘুমায়। সুতরাং তিনি কখনোই রাজধানীর সাথে যুক্ত ছিল না, এবং এখনো নেই !
রুবেল প্রধান জানান, ভাই আমাদের নিজস্ব একটি রংয়ের দোকান আছে, এ দোকানে আমরা দুই ভাই সহ বাবা দিনভর দোকানে সময় দিয়ে, রাতে বাসায় চলে যাই। এতে রাজনীতি করার সময় কই। আর রাজনীতি তো আমাদের মতো গরিবের জন্য না। রাজনীতি বড় লোকের জন্য। সুতরাং আমাকে যারা আমার শক্র পক্ষ দেলোয়ার চক্রটি বিভিন্ন ভাবে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে আমি সমাজে ‘হেয় এবং মানহানির’ স্বীকার হচ্ছি। তাই আমি আজ নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি প্রদান করে থাকি। জিডি নং ৮০৬, তারিখ ১৩/০৮/২০২৩।
এবিষয়ে মূল অপরাধী দেলোয়ার জানান, ভাই আমি রুবেলের বিরুদ্ধে ফেস্টুন কখনোই তৈরি নাই। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অনেকেই লেগে আছেন। রুবেলের কাছে আমার একমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেন থাকার কারণে। এখন সেই সকল লেনদেন পরিশোধ না করাতে, তাঁরা আমার শক্রতা দৃষ্টি চালি যাচ্ছে। এবিষে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব বলে জানান তিনি।
এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ভাই আমরা দেলোয়ারের নিজস্ব বাস ভবন বন্ধন টাওয়ারে ঘটনাটি পরিদর্শন করে আসলাম। এর সত্যতা পাওয়া গেলে, সঠিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, ভাই অপরাধীর বিরুদ্ধে এক খানা জিডি নেয়া হচ্ছে। আমরা ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাইলে, সঠিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tags: বিএনপি