এস.এম সাব্বির হোসেন,খুলনা◊◊
খুলনার কয়রায় পুলিশের পৃথক অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৩ কেজি হরিণের মাংস ও সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগ করে ধরা ৩১০ কেজি চিংড়িসহ বিনান্দ কুমার বৈদ্য নামে একজনকে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বুধবার (১৯ জুলাই) ভোর রাতে থানার ওসি এবিএমএস দোহা (বিপিএম)’র নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক অভিযানে উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাশিরহাট এলাকা থেকে বিষ দেয়া চিংড়িসহ একজনকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে কয়রা সদর ইউনিয়নে ৪নং কয়রা গ্রামের শাকবাড়িয়া খালের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আটক বিনান্দ ও একটি সিন্টিকেট নিষিদ্ধ সময়ে স্থানীয় জেলেদের সুন্দরবনে পাঠিয়ে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করত। পরে মাছ সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে মৎস্য আড়ৎ ও শুঁটকি মাছের খুঁটিতে বিক্রয় করত।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহা (বিপিএম) জানান, সুন্দরবনসহ আশপাশের বিভিন্ন নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধ করতে পুলিশের কঠোর অভিযান চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমিসহ এসআই বাবুন , এসআই ইব্রাহিম, এসআই সবুজ ও কয়েকজন ফোর্স পৃথক অভিযান অভিযান চালাই। পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ৫৩ কেজি হরিণের মাংস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও ৩১০ কেজি চিংড়িসহ বিনান্দ কুমার বৈদ্যকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করি।তিনি আরো জানান, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লৈখ্য, গত ৫ জুলাই কালের কন্ঠ পত্রিকায় সুন্দরবনের মাছে বিষের ছোবল শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বন বিভাগ নড়ে চড়ে বসে তার পর থেকে অভিযান অব্যাহত রাখে, তারপর থেকে এ পর্যন্ত বন বিভাগ ও পুলিশের অভিযানে বিষ দিয়ে ধরা ১০০০ কেজি চিংড়ি,২৫ টব নৌকা, ১০ জন আসামী,১ টি ইঞ্জিন ভ্যান, ৩ টি মটরসাইকেল জব্দ করা হয়। প্রশাসনের কঠিন তৎপরতা থাকলেও থামছে না নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা। সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট চক্রটি৷ মেতে উঠেছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংসে।
Tags: হরিণের