আরিফুল ইসলাম জিমন,দিনাজপুর♦♦
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট মহাসড়কের রাণীগঞ্জ হাটে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে ৪ তলা ভবনের সুউচ্চ সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগে অভিযোগ করেও মেলেনি কোন প্রতিকার।
জানা গেছে, মহাসড়কটি দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। রাণীগঞ্জ হাটটি ব্যবসায়িক দিক দিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাট। এ হাটের মাঝখানে মহাসড়ক সংলগ্ন একটি ৪ তলা ভবন নির্মান করেন জনৈক সাবেক ইউপি সচিব আহসান হাবিব ওরফে সাবু।
ভবনটি নির্মানের সময় কিছু অংশ সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে নেন তিনি। পরবর্তীতে ভবনের সামনে ৪-৫ফিট উঁচু করে ভবন থেকে রোড পর্যন্ত একটি সিঁড়ি নির্মাণ করে। সিঁড়িটি সম্পূর্নরূপে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গার উপরে নির্মাণ করা হয়। ফলে মহাসড়কে যান চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে গেছে। এতে করে যে কোনো সময় যানবাহন ক্রসিং করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গত ৭ই জুন বুধবার দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি ডিভিশনাল সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। সেদিনই বিষয়টি ডিভিশনাল সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হলে তিনি তদন্তের জন্য লোক পাঠাবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ঘটনাটির জন্য তদন্তে আসেন। তদন্ত শেষ করে গেলেও অদ্যবদি এ ব্যাপারে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০২০ সালে মহাসড়কের পাশে অবৈধ ভাবে স্থাপনা মির্নাণ করলে ২ বছর জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করে মন্ত্রী সভার বৈঠকে মহাসড়ক আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকার এসব আইনের বাস্তবায়নে যখন বদ্ধ পরিকর সে সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগে কিছু অসাধু কর্মকর্তা রাতের আধারে তদন্তের নামে ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ফের ১১ই জুন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডিভিশনাল সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে আবারও আস্বস্ত করেন। স্থানীয় লোকজন এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।