এ অবস্থায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রম আইন বিরোধী কোন প্রকার কর্মকাণ্ড মেনে না নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দরে কার্যক্রমরত ৩টি ট্রেড ইউনিয়ন (১) বুড়িমারী স্থলবন্দর ও স্টেশন কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজ—১৪৩৮, (২) বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং—রং—০২ ও (৩) বুড়িমারী স্থলবন্দর লোড আনলোড লেবার ইউনিয়ন রেজিঃ নং—রং—০৩।
আজ (১৬ মে) মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম দপ্তর কতৃর্ক তিনটি শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রাপ্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৪২নং আইনের ২০২(২) ধারা অনুযায়ী বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। শ্রম আইন অনুযায়ী বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিকদের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ট্রেড ইউনিয়ন’ই স্থানীয় প্রতিনিধিত্বকারী।
কিন্তু তারা শ্রম আইন লঙ্ঘন করে গত ১০/০৫/২০২৩ইং তারিখে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি শাখা কমিটি অনুমোদন দেওয়ার কারণে বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধ বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বুড়িমারীর আলোচিত জুয়েল হত্যার আসামী ও তার সহযোগী শামসুল হুদা ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে গ্রেনেড হামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামী। একাধিক মামলার আসামী ও সরকার বিরোধীদের দিয়ে দেওয়া এ কমিটির কারনে যেকোন সময় বুড়িমারী স্থলবন্দরে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, ২০০৮ সালে একবার বুড়িমারী স্থলবন্দরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল। এ চক্রান্তের কুশীলব জসিম উদ্দিন সরকার সে সময় সাধারণ শত শত শ্রমিককে বিভ্রান্ত করে ৫০০—১০০০ টাকা করে নিয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন (রেজি নং—বি—২০৯৪) এর কার্ড বিতরণ করেছিল। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তার আর কোন খোঁজখবর ছিল না। একই ব্যক্তি এবার বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ (রেজি নং—বি—২১৪৭) এর নামে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গত ১০ মে ২০২৩ তারিখে একটি শাখা কমিটি অনুমোদন দিয়ে আবারো বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। শ্রম আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই সাথে দুইটি ট্রেড ফেডারেশনের সভাপতি থাকার বিধান নেই অথচ জসিম উদ্দিন সরকার বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ দুই ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে সকলের নিকট পরিচয় দেন। এ ব্যাপারে আমরা শ্রম অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বুড়িমারী স্থলবন্দরস্থ ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের নেতৃবৃন্দ বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রম আইন বিরোধী যেকোন কর্মকান্ড প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে আজ দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং অভিযোগের অনুলিপি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বুড়িমারী স্থলবন্দর কতৃর্পক্ষ উপ—পরিচালক, ৮নং বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন বুড়িমারী স্থলবন্দরের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।