নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষে কয়েকমাস আগে সম্মেলন করা হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়েছেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। শীঘ্রই ঘোষনা হতে পারে এ দুই পদের ব্যাক্তিদের নাম। জীবনবৃত্তান্ত জমাকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসমী ভূমি দস্যু, জুয়ারী ও চাঁদাবাজ এমন বিতর্কিত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। যাদেরকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা এবং সাধারণ জনগণ বিষফোড়া মনে করেন। পদ পেতে লবিং দৌড়ঝাঁপ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অর্ন্তগত ডেমরা থানাধীন ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ১৫ থেকে ২০ জন। এরমধ্যে রয়েছে মোঃ সোহেল খান পিতার নাম মাজাহার খান। তিনিও প্রত্যাশিত সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে দৌঁড়ঝাঁপ চালিয়ে আসছেন।
কিন্ত তার পদ পেতে বাধ সাধে বিগত দিনের নানান অপকর্ম। সোহেল খানের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলা। রয়েছে মাদক,ভূমি দখল ও জুয়ার আসর বসিয়ে অর্থ বানিজ্যেরসহ নানান অভিযোগ। যারফলে ওয়ার্ডের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ তাকে ওই পদ দিতে নারাজ। তারা তাকে বিষফোড়া মনে করেন।
২০০৩ সালে ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল এর ছেলে নাদিম (১৮) ও তার বন্ধু তাজেল ওরফে তাজুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে সোহেল খান ও তার লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তাজেল মারা যায়। এ ঘটনায় নাদিমের বাবা সোহেল খানকে প্রধান আসামী করে ৫জনের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা করেন । যার মামলা নং ৮৭, তারিখ-২৮/০৩/২০০৩ ইং। বর্তমানে মামলাটি ঢাকা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৩- এ বিচারাধীন।
৬৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন খারাপ দুর্নীতিবাজ লোক আওয়ামী লীগে থাকুক তা চায়না। এর মধ্যে আবার ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ চায় হত্যা মামলার আসামী। তাকে পদ দেয়া হলে তৃনমূলে ক্ষোভ দেখা দিবে। সংগঠনের স্বার্থে বিতর্কিত লোকদেরকে কোন পদ না দেয়া এমনকি তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা উত্তম।
নিজের প্রার্থিতার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত সোহেল খান বলেন, জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছি। মামলার কথা স্বীকার করে সোহেল বলেন, মামলাটি বিএনপি’র আমলের। যেটি ছিল ষড়যন্ত্রমুলক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা শীঘ্রই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনা করব। আমাদের কাছে যাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছে তাদের মধ্যে চার্জশীটভুক্ত হত্যা মামলার আসামি থাকলে তাদের কমিটিতে পদ বা সদস্য হওয়ার কোনও সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।