আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউপি’র জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয়ে আব্দুল মজিদ আবদুর রশিদ নামের চতুর্থ শ্রেণীর দুই কর্মচারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল আহসান সোহেলের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে গত ৬ মাস থেকে এমপিও’র বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না।
এতে বেতন বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এনিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বেতন বঞ্চিত আব্দুর রশিদ জানান,বিগত ১৯৯৫ সাল থেকে আমি যথাযথ ভাবে চাকরী করে আসছি,এনআইডি কার্ড সংশোধনের অজুহাতে হেডস্যার (কামরুল আহসান সোহেল) গত ৬ মাস থেকে আমার বেতন~ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
এদিকে,৬ মাস যাবৎ বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপনের বনর্না করেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন আব্দুর রশিদের স্ত্রী।
আব্দুর রশিদের বড় ছেলে জুয়েল মিয়া বলেন,আমার পিতার অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ ও জন্ম সনদ অনুযায়ী তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ৩১ মার্চ ১৯৭৭ যা ভুলবশত এনআইডি কার্ডে তার জন্ম তারিখ ১১ অক্টোবর ১৯৫০ লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন করা হয়েছে।
পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা, মাহতাব হোসেন বলেন,এ বিষয়ে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ নাই,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জসীম উদ্দীন মাস্টার বলেন,আব্দুর রশিদ বেতন না পেয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছেন,তার বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক বলেন,তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করা ঠিক হয়নি। এটা অন্যায় করা হয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল আহসান সোহেল জানান,আব্দুল মজিদ ও আবদুর রশিদ এর এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ মোতাবেক তাদের চাকরীকাল শেষ হয়েছে। তাই তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। তবে এন আইডি তৈরির আগে তো তার চাকরী হয়েছে তাহলে কিভাবে বয়স শেষ হলো এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি ওই প্রধান শিক্ষক।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কল্লোল প্রধান বলেন,এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে জানানো হয়নি।
দ্রুত সমস্যার সমাধান করে তাদের বেতন ভাতাদি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী, সুশীল সমাজসহ পর্যবেক্ষক মহল।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।