করোনার মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশে জন্ম নেবে ২৪ লাখ শিশু। এ সময়কাল মহামারী শুরু হওয়ার ৪০ সপ্তাহে এসব শিশু জন্ম নেবে। তবে অবরুদ্ধ (লকডাউন) এ সময়ে এসব শিশু ও তাদের মায়েরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
সংস্থাটি বলছে, চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং তা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ফলে প্রসূতি ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য সেবা যথাযথ গুরুত্ব না পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ইউনিসেফ বলছে, ১১ মার্চ কোভিড-১৯ কে মহামারী ঘোষণার পর থেকে প্রায় ১০ মাসে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হবে।
সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রসূতি মা ও নবজাতকদের রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমূলক নানা পদক্ষেপ; মহামারী সামলাতে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোর হিমশিম অবস্থা ও সরঞ্জামের ঘাটতি এবং ধাত্রীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে নিয়োজিত থাকায় শিশুর জন্মের সময় দক্ষ লোকবলের ঘাটতি থাকবে।