শেখ সাখাওয়াত হোসেন, পাবনা।।
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনার এক মামলায় গ্রেফতার বাস চালক মমিন সরদারের মুক্তি ও সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পাবনা জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী। অবিলম্বে দাবী গুলো বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে পাবনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বিক্ষোভকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
এসময় শ্রমিকরা ‘মমিন ভাইয়ের, মুক্তি চাই দিতে হবে’,‘জেলের তালা ভাঙবো, মমিন ভাইকে আনবো’, ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানবো না’, ‘কালো আইনের বিরুদ্ধে, অ্যাকশন অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। নেতাকর্মীরা এ সময় ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবীতেও বিভিন্ন স্লোগান দেন। বক্তারা বলেন, ‘সড়কে যেকোনও দুর্ঘটনায় এখন হত্যা মামলায় পরিণত হচ্ছে। আমাদের দেশের রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা। বৈধ-অবৈধ সকল পরিবহন এক সঙ্গে এমনকি গরু-ছাগল থেকে শুরু করে সবই একই রাস্তায় চলাচাল করে। কোনও ধরনের শৃঙ্খলা নেই, অথচ দুর্ঘটনা ঘটলেই বাস-ট্রাক চালকের দোষ।’
তারা বলেন, ‘কোন বাস-ট্রাক চালক ইচ্ছে করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। কারণ-এতে তার জীবন ও গাড়ীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ দুর্ঘটনা ঘটলেই সব দোষ চালকদের ওপর দিয়ে হত্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এভাবে হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে আমাদের পরিবহন চালানো সম্ভব নয়। অবিলম্বে মমিনকে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে বিতর্কিত পরিবন আইন বাতিল করতে হবে। নইলে দেশের সব শ্রমিক সংগঠন গুলোকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।’
এসময় বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফিরোজ খান, লাইন সম্পাদক আলাউদ্দিন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রনি, সাবেক অর্থ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, শ্রমিক নেতা হান্নান মুনসি, মুন্না, রবিউল, মিলন, মেহেদি (বুটিন) প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা-পাবনার মহাসড়কের কাশিনাপুরের ২৪ মাইল এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হোন। এঘটনায় আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা। এই মামলায় গত ১২ মে পাবনা জজকোর্টে জামিন নিতে গেলে অভিযুক্ত পিয়াস পরিবহনের চালক মমিন সরদারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।