আজ (৯ মে) সোমবার সকালে প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি রেষ্টুরেন্টে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান। ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম। বাবা আবদুল কাদের মিয়া ও মা ময়েজুন্নেসার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১—৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ—সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন।
তিনি আরো বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেন। তার গবেষণামূলক ও বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং এক মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। মৃত্যুর পর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে বাবা—মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহমেদ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, নারীনেত্রী এলিজা রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ বাদশা উদ্দিন মিন্টু, সাংবাদিক অ্যাঞ্জেলা, তরুণ নেতা ডাবলু মিয়া প্রমুখ।
এ সময় বক্তাগণ প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।