বাংলাদেশের ৩১ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে মোটর সাইকেল চালানোর সময় নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ৮৮৪ টি দুর্ঘটনায় আহত ৬৭১ এবং নিহত হয়েছে ১৬০ জন; অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪৭৭ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৪০ এবং নিহত হয়েছে ১৪৬ জন; খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ৬১৫টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৪৪৫ এবং নিহত হয়েছে ২১১ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৩৯ টি আহত হয়েছে ৬২১ জন এবং ২১০ জন নিহত হয়েছে।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, আইয়ুব রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩০ এপ্রিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এপ্রিল মাসের এই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচ্য তা হলো- ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃতিম টিকেট সংকট তৈরি করে ২ থেকে ৩ গুণ ভাড়া বাড়ানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। আর এই মহলে সম্পৃক্ত সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ। তারা ঈদযাত্র ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করার পায়তারা করেই যাচ্ছে।
১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩৮ টি। আহত ৪৩৪ জন, নিহত হয়েছে ৩৩ জন।
১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১২ টি। আহত হয়েছে ১৮৬ জন, নিহত হয়েছে ৪২ জন।
১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ্য হয়েছেন অর্ধশতর বেশি মানুষ।
যেহেতু পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে মোটর সাইকেল যোগে চলাচল বৃদ্ধি পাবে, সেহেতু এই বাহনে চলাচলকারীদেরকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে চলাচলে বাধ্য করতে পুলিশকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সাথে প্রচন্ডরকম ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে রেলওয়ে, নৌ ও হাইওয়ে পুলিশকে দুর্নীতিমুক্তভাবে যথাযথ দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারিকে ছুটি বাতিল করে ‘পর্যবেক্ষণ টিম’ গঠন করে ঈদের পরে ৪ দিন পর্যন্ত তদারকিতে নিয়োজিত রাখতে হবে। এতে করে প্রায় ৭ কোটি মানুষের ঈদযাত্রা-ঈদফেরা দুর্ঘটনামুক্ত হবে বলে সেভ দ্য রোড বিশ্বাস করে। সেই কাজে যদি তাদের সহায়তার প্রয়োজন হয়; অবশ্যই সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিগণ নিবেদিত থাকবে। তবু বাংলাদেশের সড়ক- রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত হোক, সবাই ফিরুক সবার গন্তব্যে, ভালো থাকুক বাংলাদেশ…।