রাকিবুল ইসলাম,রাজবাড়ী থেকে।।তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।নতুন বছর নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। পুরোনো বছরের গ্লানি ভুলে স্বাগত নতুন বছরের।আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।
গতকাল (১৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয় সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে প্রভাতের প্রথম আলোয় মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বরণ করে নতুন বছরকে। আজ পহেলা বৈশাখ। আজ সূর্যের নতুন আলোর সঙ্গে এসেছে নতুন বছর, বঙ্গাব্দ ১৪২৯।করোনা মহামারির তাণ্ডবে গত দুই বছর বন্ধ ছিল বৈশাখ উদযাপন।তাই এ বছর পহেলা বৈশাখ বরণ করে বিভিন্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে।আর সাথে গেয়ে উঠেছে শত কন্ঠে এসো হে বৈশাখ এসো এসো।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সর্বজনীন উৎসবে।রমনার বটমূল,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে সারাদেশে পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ।
এবিষয়ে আলাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন,সরকারি নির্দেশনা মতো আমরা স্ব-উদ্যোগে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উৎযাপন করি।এসময় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলো।প্রায় ৪ শতাধিক এর মতো ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলো।ছেলেরা পাঞ্জাবি ও মেয়েরা শাড়ী পড়ে এসেছিলো।এই উদযাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে এবং বাঙালি জাতির ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছে।পবিত্র রমজানের কারণে আমরা বড় পরিসরে আয়োজন করতে পারিনি। অন্যথায় আমরা বড় পরিসরে বৈশাখ উদযাপন করতাম।
তিনি আরো বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পহেলা বৈশাখ উদযাপন এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী রুবাইয়া বলেন,আজকে রোজা থাকার কারণে পান্তা ভাত এবং ইলিশ খেতে পারিনি।তবে স্কুলে এসে আমরা র্যালি করেছি,পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।আমাদের খুব ভালো লাগছে।তবে গত দুইবছর করোনার কারণে সকল আয়োজন বন্ধ থাকাতে আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারিনি।
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রাজু খান বলেন, আমি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে কিছুই জানি না।সবাই আসে তাই আমিও এসেছি।তবে স্কুলে এসে আমার খুব ভালো লেগেছে,অনেক বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা হয়েছে।
এবং স্কুলের বাইরে অপেক্ষারত অনেক ছেলেদের মোটরসাইকেলসহ ও মোটরসাইকেল ছাড়া নানান বয়সের ছেলেদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।কিন্তু তারা কেন স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো তা জানা যায় নি।
বাঙালির আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে বাংলা নববর্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যে দিনটি জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বাঙালি উদযাপন করে থাকে। সেদিক থেকে বাংলা নববর্ষ প্রকৃতপক্ষেই আমাদের জাতীয় উৎসবের দিন।