মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুরে উত্তরা মোটরসের বাজাজ মোটরসাইকেলের ডিলার সদর উপজেলার চৌরঙ্গীর বাজাজ ভিলেজ শো-রুমের মালিক আঃ জলিলের বিরুদ্ধে গ্রাহককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের কালিকা প্রসাদ গ্রামের হাসান হাওলাদার ও তার ভাই আরিফ হাওলাদারের সাথে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় চৌরঙ্গীর মোড়ের ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত বাজাজ ভিলেজের শো-রুমের মালিক আঃ জলিলসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ভুক্তভোগী হাসান হাওলাদার।
অভিযোগকারী হাসান হাওলাদার জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী আমি একটি পালসার মোটরসাইকেল ক্রয় করি, এরপর তারা আমাদের গাড়ির রেজিষ্টেশন ও দুইটি ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে ৩৪ হাজার টাকা নেয়, কিন্তু তারা আমাদের কোনো কাগজপত্র না দিলে বুধবার আমরা আসলে তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এনআইডি কার্ড লাগবে বলে জানায় এবং তারা এনআইডি কার্ড করে দেবে বলে আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করে। আমরা লাইসেন্স করবোনা বলে টাকা ফেরৎ চাইলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাজাজ ভিলেজের মালিক জলিল আমার গায়ে হাত দিলে তার আরো ৪/৫ জন কর্মচারী আমার ভাই ও আমাকে মারধর করে আমার গলায় থাকা সোনার চেইন নিয়ে যায়। পরে আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করেন।
এঘটনায় আরেক ভুক্তভোগী আরিফ হাওলাদার বলেন, আমরা দুই ভাই মালদ্বীপ প্রবাসী আমাদের এনআইডি কার্ড করতে পারিনি, শো-রুমের মালিক বলেছে জন্ম সনদ দিয়েই ড্রাইভিং লাইসেন্স হবে কিন্তু এখন সে এনআইডি কার্ড চায় অথবা আরো ২০ হাজার টাকা দিলে তারা আমাদের এনআইডি কার্ড করে দিবে বললে, আমরা রাজি না হয়ে টাকা ফেরৎ চাইলে আমাদের গালিগালাজ ও মারধর করে।
এবিষয়ে মোটরসাইকেলের শো-রুম বাজাজ ভিলেজের মালিক আঃ জলিল বলেন,যাই হয়েছে আমি এই ঘটনার জন্য তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, বিষয়টি আমরা থানায় বসে মিমাংসা করেছি। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নেয়া ২০ হাজার টাকা তাদের ফেরত দিয়েছি।
এঘটনায় পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, দুপক্ষের লোকজন ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।