তারা বলেন, ‘৭ নভেম্বরের চেতনাই হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। জুলাই-আগষ্টের চেতনার মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বরের মত জাতিকে সকল প্রকার ফ্যাসীবাদ হতে মুক্তি দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোষররা যা করেছে, সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম এক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। ফ্যাসীবাদ যাতে আর কখনো প্রতিষ্ঠি হতে না পারে তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, চারপাশে আলোচনা চলছে দেশকে বি-রাজনৈতিক করণের প্রক্রিয়া চলছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তোর চিন্তা করছে জনগন। মনে রাখতে হবে আমাদের মুল সমস্য হলো রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের অন্তর্র্বতী সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ’
তারা বলেন, ‘অর্ন্তবর্তী সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে কি না, তার বৈধতা আছে কি না ? এ বিষয়ে কথা বলা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধান জনগণের জন্য। সরকার জনকল্যাণের জন্য। তাই ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র আওতায় সংবিধান সংশোধনে যাওয়া উচিত। আমাদের বর্তমান সংবিধানে স্বৈরাচারী হওয়ার অনেকগুলো উপাদান রয়েছে। ১৯৭২-এর সংবিধানেও তা ছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে এ ধরনের আরও কিছু উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা প্রয়োজন। নতুন সাংবিধানিক কাঠামো লাগবে। তাহলেই এই গণঅভ্যুত্থান টেকসই হবে। সংস্কার ছাড়া এক দল থেকে আরেক দলে ক্ষমতা গেলে জনমানুষের আশার প্রতিফলন হবে না। ৭ নভেম্বর ও জুলাই আগষ্টের চেতনায় জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে সংস্কার করতে হবে।’