সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ৫ দলীয় বাম জোটের সমন্বয়ক কমরেড ডা. এম এ সামাদ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ২০ রোজার মধ্যে সকল পোষাক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা লক্ষ্য করেছি প্রতিবছর ঈদের আগে অনেক কারখানা মালিক শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস ঠিকমত দেন না এজন্য শ্রমিকরা অনেক কষ্টের মধ্যে পড়ে যায় এবং অতিতে অনেক অপ্রিতিকর ঘটনা ও ঘটেছে।
সরকার অন্যায় ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সকল নিত্য পণ্যের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে গেছে। সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। , দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সিন্ডিকেট ভাঙা, সারাদেশে রেশনিং এবং পর্যাপ্ত ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু রমজান মাস উপলক্ষে যেন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে এজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া মানুষরা দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময়ে আকস্মিক ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে নিয়ে যায়, তখন সরকার লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নেয়। তাতে সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের অর্থনীতি বহাল রেখে এই অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না।লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারের ছত্রছায়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, লুটপাট, দুর্নীতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ব্যাংক লুট ও বিদেশে অর্থ পাচার করছে। আমরা অবিলম্বে কালো টাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি যা শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ সাধারণ মানুষ আজ গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে না সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট গরুর ফার্মের মালিকরা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছে মত গরুর দাম রাখছে। জনগণের পকেট কাটছে তার ১ লাখ টাকার গরু ২/৩ লাখ টাকা রাখছে সরকার তাদের স্বার্থে ভারত থেকে গরু আমদানী নিষিদ্ধ করে রেখেছে। মাংস ব্যবসায়ীরা বার বার বলছেন ভারত থেকে গরু আমদানির সুযোগ দিলে তার ৫০০ টাকা করে মাংস দিতে পারবে কিন্তু সিন্ডিকেট মুনাফাখোর এর কারনে সরকার ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ করে রেখেছে। আমরা অবিলম্বে ভারত থেকে গরু আমদানীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিধান দাস, সচেতন নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জামিরুল রহমান ডালিম, সোশ্যালিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী) সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় নেতা সামছুল হক সরকার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।