১২ জুলাই সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, শওকত হোসেন ও আনজুমান আরা শিল্পী এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদের আগের ২ দিন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন, মহাখালী বাস স্ট্যান্ড, সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিগণ সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে- সবচেয়ে ভোগান্তি হয়েছে এবার গণপরিবহনে ঈদযাত্রা যারা করেছেন, তাদের। এছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যাবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। মাইক্রোবাস-গরুবাহি ট্রাক-এ্যাম্বুলেন্স-পিকআপেও যাত্রীরা অর্থনৈতিক জিম্মি হয়ে ছুটেছেন বাড়ির পথে। সাথে ছিলো কোরবানীর পশুর হাটের কারণে চরম জ্যাম আর ভোগান্তি। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন সেতুতে ১০ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিলো টোল আদায়ের সময়।
ঈদযাত্রার ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যেন রাজধানী ফিরতি মানুষদের না পরতে হয়; সেদিকে দৃষ্টি রেখে অবশ্যই পুলিশ-প্রশাসন-মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানিয়ে সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, প্রয়োজনে বিআরটিসির ডিপোতে থাকা শতাধিক অতিরিক্ত বাস অনতি বিলম্বে কয়েকটি রুটে ভাগ করে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করতে হবে, কোথাও যেন যাত্রীকে জিম্মি করে ঈদের আগের মত ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্কতার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট টিম জেলা শহরের বাস স্ট্যান্ডে সক্রিয় রাখতে হবে, একই সাথে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ-এর সতর্ক প্রহরা ৫ কিলোমিটার পর পর নিশ্চিত করতে হবে।