এতে সভাপতিত্ব করেন, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মাওবাদী) র সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক পার্টির সভাপতি কমরেড হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় একতরফা পাতানো নির্বাচন ও ঘোষিত তফসিল বাতিল সরকারের পদত্যাগ দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের, সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতামত উপেক্ষা করে অবৈধ অগনতান্ত্রিক ভাবে একতরফাভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে আমরা এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি সরকার র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, গুন্ডা বাহিনী দিয়ে দেশে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা দেশব্যাপী গ্রেফতার মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ফ্যাসিবাদ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আবারও সামনে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। দেশের ১৬ কোটি জনগনের মৌলিক অধিকার ভোটের অধিকার হরণ করে রেখেছে। লুটপাট দুর্নীতি অর্থ পাচার করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও ১৬ কোটি জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় এই সরকারের পদত্যাগ চায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইয়াহিয়া টিক্কা খানরা বাংগালীদের সাথে যেমন আচরণ করতো শেখ হাসিনাও একই রকম আচরণ করছে বিরোধী দলের সাথে। গুম খুন হামলা মামলা গ্রেফতার করে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ আতংকিত। শেখ হাসিনা হিটলারের মতই আচরণ করছে জনগণের সাথে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মির্জা ফখরুল সহ বিরোধীদলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই একতরফা তফসিল ঘোষণা বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ ও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি নেতৃবৃন্দ এই একতরফা পাতানো নির্বাচন প্রতিরোধ করতে রাজপথের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাই
আলোচনা সভায় আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর সকাল সন্ধ্যা সারাদেশে হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের রাজপথে থেকে হরতাল সফল করতে বলা হয়, এবং দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন এর মধ্যে সরকার দাবী না মানলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।