নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্দ্রষ্টা মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যতই চেষ্টা করুক না করে মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেরা যাবে না। যতদিন গণমানুষের মুক্তির সংগ্রাম চলবে ততদিন ভাসানী থাকবেন অমর ও অক্ষয় হয়ে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “মওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি আয়োজিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও উম্মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই দেশ, মাটি ও দেশের ইতিহাস যত দিন থাকবে, সেখানে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী থাকবেন উজ্জলভাবে। যতই চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হোক, তাঁকে কিছুতেই মুছে ফেলা যাবে না। ন্যাপ মহাসচিব বলেন, উপমহাদেশের ইতিহাসে অনেক মহান নেতা খুজে পাওয়া যায়। কিন্তু মাওলানা ভাসানীর মতো আরেকজন নেতা বিরল। যিনি বিপ্লব ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন আপসহীনভাবে লড়াই করে গেছেন। মাওলানা ভাসানীকে যারা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে তারা নিজের অস্তিত্বের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। তিনি বলেন, যত দিন এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম আছে, তত দিন মাওলানা থাকবেন। এই দেশ ও দেশের ইতিহাস যদি থাকে, সেখানে মাওলানা ভাসানী থাকবেন। তাঁকে কিছুতেই মুছে ফেলা যাবে না যতই চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হোক। জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গরীব মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান মিলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল-বিডিপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম সুরমা, স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এএএম ফয়েজ হোসেন, পিপলস গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, পিআরপি চেয়ারম্যান হোসেন মোল্লা, ফরোয়ার্ড পার্টি সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কস পার্টি সদস্য হারুনর রশীদ মাহমুদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ বলেন, চরিত্রহীন বুর্জোয়ারা মাওলানা ভাসানীকে রহস্যময় বলে সমালোচনা করে থাকেন। আসল সত্য হলো মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছিলেন এবং তার পথই হচ্ছে সঠিক পথ। মওলানা ভাসানীকে যারা চেনেন না বা অনুসরণ করেন না তাদের পক্ষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তার মতো মজলুম জননেতা আর কেউ হতে পারেনি।