নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কেবল একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও ছিলেন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জনগণের প্রতি অসীম ভালোবাসা এবং গণতন্ত্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাই ছিল তার জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। দেশ ভাগের আগে ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি অখণ্ড স্বাধীন বাংলা নামে একটি ‘ডমিনিয়ন রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১২৯ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাজার প্রাঙ্গনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে জন্মগ্রহণ করিয়া বিংশ শতাব্দীর ষাট দশকের প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনসহ ভারতীয় মুসলিম জাতির প্রতিটি ইস্যুতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে যারা জাতীয় জীবনে অমর হয়ে আছেন গণতন্ত্রের মানষপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাদের অগ্রগামীদের একজন। তিনি আরো বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে তথা আরো নিপুণ করে বলতে গেলে আমাদের বাঙ্গালী রাজনীতিতে খুবই নগন্য সংখ্যক, অত্যন্ত হাতে গোনা কিছু রাজনীতিক গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনে অতিশয় আকুলতা নিয়ে দীপ্তিমান হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি, ওই সময় যারা সত্যিকারের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন তাদের মধ্যেই একজন ছিলেন এই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন জনগণের রাজনীতি করতে গিয়ে কারাবরণসহ তাঁকে একাধিকবার হত্যারও চেষ্টা করা হয়। পাকিস্তান আমলে তাঁকে রাজনীতি থেকে উচ্ছেদ করা ও নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা ইত্যাদি সবই ছিল তৎকালীন স্বৈরশাসকদের জঘন্য ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির ফল। নির্বাসনে হতোদ্যম জীবনের এক পর্যায়ে তাঁর নিঃসঙ্গ মৃত্যু হলেও এখনও তিনি গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের অন্তরে সমুজ্জ্বল ও স্থায়ী আসনে সমাসীন। সংগঠনের সভাপতি ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এম এ জলিলের সঞ্চালানায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন (ভার্চুয়াল) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন বিশ্ববাঙালি সম্মেলনের সভাপতি কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মফিজুল হক সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, বরিশাল বিভাগ সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল আলিম খান, যুগ্ম সম্পাদক আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাসদ নেতা সেলিম আখন্দ, স্মৃতি পরিষদের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন প্রমুখ।