নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
‘রাজনীতি এখন পথহারা। দুর্নীতি আর দুবৃত্তায়নের কারণে রাজনীতি ক্রমান্বয়ে জনগনের আস্থা হারাচ্ছে। সুবিধাবাদি আর লুটেরারা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করছে। ফলে জাতীয় সঙ্কট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। দেশে এখন রাজনীতিবিদরা পরিহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। দলীয় বিবেচনায় তাদের অসম্মানিত করা হচ্ছে। যা জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। উজান স্রোতের যাত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদও শেষ জীবনে শিকার হয়েছিলেন তথাকতিথ জাতীয়তাবাদী সুবিধাবাদি রাজনীতির। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে প্রখ্যাত রাজনীতিক, প্রাজ্ঞ সাংবাদিক ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জননেতা আনোয়ার জাহিদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন বিএলডিপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ মুভমেন্ট যুগ্ম মহাসচিব নবাব সালেহ আহমেদ খান, শেরে বাংলা গবেষণা পরিষদের মহাসচিব আর কে রিপন, অগ্রগামী ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু প্রমুখ। বিএলডিপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিমউদ্দিন আল আজাদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসে এক ধ্রæবতারার নাম আনোয়ার জাহিদ। নীতিহীন রাজনীতির যুগে তিনি ছিলেন অনুস্মরণীয় ও অনুকরণীয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে ভদ্রভাষায়ও যে ভিন্নমত প্রকাশ করা যায় তার জলন্ত দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মরহুম আনোয়ার জাহিদ ছিলেন সংগ্রামী জাতীয়তাবাদী নেতা ও দেশপ্রেমিক । এক সময়ের খ্যাতিমান সাংবাদিক। তারমত মেধাবী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদের ব্যবহার করে প্রয়োজন শেষে যারা ছিটকে ফেলেছেন সময় তাদের ক্ষমা করে নাই। তারাই আজ পদে পদে অপমানিত হচ্ছেন। তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনা করলেও কারো সর্ম্পকে কুটুক্তি বা অশ্লিষ শব্ধ ব্যাবহার করতেন না। যা আজকের রাজনীতিতেই ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, আনোয়ার জাহিদ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে। যার ফল আজও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ভোগ করতে হচ্ছে। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া পরবর্তী জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থক নেতৃত্ব ছিলেন তিনি। যখন রাজনীতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আঙ্গুল উঠানো হয় তখন তাকে উপস্থিত করা যায় সততার দৃষ্টান্ত হিসাবে। সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, নীতিহীন রাজনীতির যুগে তিনি সততা ও মেধাভিত্তিক রাজনীতির এক উজ্জল নক্ষত্র। যে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য আনোয়ার জাহিদ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তারা তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তির মাঝে অশল্পনীয় যে ঐক্যের সূচনা হয়েছিল তার রুপকার ছিলেন তিনি। দু:খজনক হলেও সত্য সেই রুপকারকেই এক সময় ছিটকে ফেলে দিতে কুন্ঠিত হয়নি তারা।