জানাগেছে, রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে।
এ বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। ফেসবুকে মূল পোস্টটি ছিল মউদুদ সুজনের। তাঁর পোস্টটি সোমবার প্রেসসচিব শেয়ার পর ফেসবু’কে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই পোস্টে মউদুদ সুজন লিখেছেন, ‘গুম হওয়া স্বামী বলছেন পবিত্র শবেকদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁর স্ত্রী’কে।
এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রী’র মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।’
সেই পোস্টে ধর্ষকের নাম জানিয়ে লেখা হয়, “ধর্ষক র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ উদ্দিন। স্বামী সব কিছু হারিয়ে যখন আলেপ’কে (আলেপ উদ্দিন) বারবার ফোন দিতে থাকেন আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, ‘বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সাথে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত ’……..।
মউদুদ সুজন সেই র্যাব কর্মকর্তার বিচার চেয়ে লেখেন, ‘মানুষ কতটা নিচুতে নামলে নিজের মা/ স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রী’কে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।’
ওই পোস্টের পর তিনি আপেল’কে নিয়ে আরো একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আর্থিক অনটনে থাকা আলেপকে যারা নিজেদের কাছে রেখে, আর্থিক সহায়তা দিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে সাহায্য করেছে, তাঁদের সাথে কথা হলো। র্যাবে তাঁর সহকর্মী একজন পুলিশ সুপারের সাথে কথা হলো।
যা শুনছি, গা শিউরে উঠছে; তাঁর পক্ষে এ রকম জঘন্য কাজ করা অসম্ভব নয়।
এই আলেপ এ রকমই কুখ্যাত ছিল। তিনি নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ থাকাকালীন সময়ে এধরনের শত শত অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেন। গড়েছেন তিনি অবৈধ সম্পদের পাহাড়।