নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ফ্যাসীবাদ মুক্ত আগামীর বাংলাদেশে কোনোভাবেই বিভাজনের রাজনীতি কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না, আনতে পারে না। তাই আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মানে জাতীয় ঐক্যর শপথ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীন বাংলাদেশ আর লাল-সবুজের পতাকা আনতে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা এখনো আছেন সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘১৯৭১ এবং ২০২৪-কে এক কাতারে দাড় করানো সঠিক হবে না। ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ১৯৪৯, ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১’র বহু ত্যাগ ও এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আবার ২০২৪’এ বহু ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসীবাদী শাসনের অবসান হয়েছে। ১৯৭১ আমাদের অহংকার আর ২০২৪ আমাদের গৌরব।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘১৯৭১, ’৯০ আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ১৯৭১ সালে দেশের সেনাবাহিনী এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল এবং সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা আর সশ¯্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সকল সময়ই দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। ’৯০-এর আন্দোলনেও সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ২০২৪ সালেও সেই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, আমাদের সম্মান দেখাতে হবে।’
তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসীবাদের অবসান হয়েছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সহনশীল হতে হবে। একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার যে গণতান্ত্রিক সমাজ সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। সকলকে সচেতন হতে হবে, যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পতিত ফ্যাসীবাদী শক্তি পুন:প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সেনাবাহিনী বাংলাদেশের গর্ব, মানুষের ভরসার স্থল। দেশপ্রেমিক এই বাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হলে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল হবে না। সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জুলাই আন্দোলনের ক্রান্তিকালের সময় এগিয়ে না এলে আরও হাজার হাজার লাশ পড়ত, কিন্তু ফ্যাসীস্ট শাসক ক্ষমতা ছেড়ে পালাত না। এটা ভুলে গেলে চলবে না। ৫ আগস্টের পর পুরো দেশ যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন এই সেনাবাহিনী মানুষের নিরাপত্তা দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভ্রোমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’