নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এবার কাঁচপুর হাইওয়ে ওসি চিটাগাংরোড-সানাইবোর্ড এলাকার চাঁদাবাজির অংশ দখলে নেওয়ার চেষ্টায় পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কাছে সোর্স পাঠিয়ে দেখা করার কথা বলেন। গত এক সপ্তাহ যাবত চিটাগাংরোড-সানাইবোর্ড এড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অধীনে চলে যাওয়াতে বিভিন্ন খাতে চাঁদার অংশের ভাগ বাটোয়ারা বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন পুলিশ। শুরুতেই চিটাগাংরোড কাউন্টার বাস পরিবহণের মালিক পক্ষকে ওসির নেতৃত্বে থাকা সোর্স শহিদ নামের এক ব্যক্তি হাইওয়ে ওসির সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি। অন্যথায় পরিবহণ ব্যবসায় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, পূর্বের তুলনায় এখন হাইওয়ে ওসির এড়িয়া অনেক অংশ বেঁড়ে যাওয়াতে তার চাঁদাবাজির ভাগ্য’র পরিমানও দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে সাইনবোর্ড ও গাউছিয়া এলাকা কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের আওতায় আসাতে ওসি মনিরুজ্জামানের ভাগ্য’র চাঁকার পরিবর্তন ঘটেছে। এমন পরিকল্পনার সূত্রধরে কিছু শ্রেনীর নামধারী কথিত সাংবাদিকদের অর্থ প্রদান করে ওসির পক্ষে সাংবাদ ছাপিয়ে নিজেকে যাহের করার চেষ্টা। কোন কোন সংবাদ শিরোনামে বলা হয়েছে ‘‘হাইওয়ে ওসি মানবিক’’ এমন কিছু সংখ্যাক সংবাদ দেখে স্থানীয় সাধারণ জনগণ হাঁসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেন।
আরও জানাগেছে, সম্প্রতি গত (২৯ এপ্রিল ও ২২ মে) একাধিক গণমাধ্যমে রাস্তা আক্রিয়ে ফুটপাত ব্যবসার সংবাদ প্রকাশ করা হলে তাঁর বিরুদ্ধে। এখনো তিনি বহাল তবিয়তে। সূত্রমতে ওসি বিভিন্ন সাংবাদিক মহলে পরিত্রাণ পেতে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেন। তাঁর কর্মস্থল টিকিয়ে রাখার জন্য অর্থ দিয়ে পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার লক্ষে, নিজেকে সততার পরিচয় তুলে ধরেন। যা ইতিমধ্যে সাধারণ জনগণের কাছেও বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আবার এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বার্থবাজ হাতে গোনা কয়েকজন কথিত সাংবাদিকরা সংবিধান ভঙ্গ করে আইনী বিরোধী ভাবে সাংবাদিক আব্দুল হালিম নিশাণের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। ওই বিষয়টি বর্তমান চলমান আইনী পদক্ষেপেও ঢাকার বিজ্ঞ সিনিয়র সাংবাদিকরাও দু:খ প্রকাশ করে, কঠিন ভাবে আইনের আশ্বাস প্রদান করেন তাঁরা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক চিটাগাংরোড এক পরিবহণ ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক ভাই আমরা কোন প্রকার অবৈধ পরিবহণ ব্যবসা করিনা। আগে অনেকটা নিরিবিলী ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এখন জানাগেছে চিটাগাংরোড-সানাইবোর্ড পর্যন্ত কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অধীনে চলে গেছে। সেকারণে ওসির নেতেৃত্বে থাকা সোর্স শহিদ নামে পরিচিত এক ব্যক্তি ব্যবসা করতে হলে ওসির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে গুরুত্বের সাথে অবহিত করা হলেও, এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আমলে নিচ্ছেনা তাঁরা।