সাদ্দাম হোসেন মুন্না,নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও একটি এনজিও স্কুল স্থাপনকে কেন্দ্র করে গত ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারী দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম (২৫) নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ জনে । আশংঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো দুই জন। ময়না তদন্ত শেষে শনিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নিহত যুবলীগ নেতা সাইদুলের লাশ সোনারগাঁ থানায় আনা হয়।
এদিকে সাইদুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ আলাউদ্দিনের লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিপুর্বে আলাউদ্দিনের পক্ষের নিহত সমর আলীর ভাই আব্দুল আলী, সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেকের পক্ষে তার স্ত্রী শেফালী বেগম ও আলী আহাম্মেদ পক্ষে কাঁকলী বাদী হয়ে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের হাজী আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেক মোল্লার আধিপত্য বিস্তার ও একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ চলে আসছে। এ ঘটনায় ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারী দফায় দফায় সংঘর্ষে আলাউদ্দিন গ্রুপের ১ জন নিহত ও উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ ফেব্রুয়ারী সাদেক গ্রুপের আলী আহাম্মদ ও ৫ মার্চ শুক্রবার রাতে যুবলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম মারা যায়।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা মামলার দাবীতে থানায় লাশ রেখে অবস্থান করছেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সাইদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় পুর্বের মামলার সাথে সম্পুরুক মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।