নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন এর মৃত্যুর পর উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে আওমীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন সোনারগাঁয়ের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু। ছাত্রলীগের তৃনমূল থেকে উঠে আসা সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বাবুল ওমর বাবু গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫,৬৪০ ভোট পেয়ে ভাইচ-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল পেয়েছিলেন ২২,৯০৯ ভোট। বাবুল ওমর বাবু ১২,৭৩১ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হন। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে সব মহলে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। গত ২২ জুলাই সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার গ্রীনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও উপ-নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা। আগামী উপ-নির্বাচনে কারা কারা নির্বাচন করবেন এবং ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন কে। কে হবেন উপজেলা উপ নির্বাচনে নৌকার মাঝি?। পাশাপাশি অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছেন প্রচারণা। এ অবস্থায় শূন্য মাঠে গোল দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের বলয়ের কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন আগাম প্রচারণা। তবে ভোটারদের মতামত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন সোনারগাঁয়ের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ছাড়াও যাদের নাম শোনা যাচ্ছেÑ কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাড শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহাফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, ব্যবসায়ী এইচ এম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এরফান হোসেন দীপ। কেউ কেউ বিভিন্ন মতবিনিময় সভা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থী হওয়ার ইশারা ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন। যারা পদ-পদবীধারী তাদের অনেকেই পদ হারানোর ভয়ে প্রকাশ্য প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও চেয়ে আছে উপর মহলের দিকে। অনেকে বলছে, দলীয় প্রতীক পেলে নির্বাচন করবো। কেউ কেউ অনঢ় রয়েছে নির্বাচনের জন্য। এবিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ নিরব বলেন, সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাওয়া, দলের নীতি নির্ধকরা ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যান বাবুল ওমর বাবুকেই নৌকা প্রতিক দিবেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইচ-চেয়ারম্যান পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে ১২,৭৩১ ভোটে পরাজিত করেন। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে ছোট বড় সকলের নিকট রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক বলেন, শুধু দলের নেতাকর্মী-ই নয় সকল শ্রেনী পেশার মানুষই নৌকার মাঝি হিসেবে বাবুল ওমর বাবুকে চায়। কারণ বাবুর দেহে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে দলীয় মনোনয়ন বাবুই পাবে বলে আমি আশা করি। সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, আল্লাহ চাইলে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হবো। ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি কিছুই পেলাম না। এবার উপজেলা নির্বাচনে আমি ছাড়াও অন্য কোনো প্রার্থীর আছে কিনা জানি না। সোনারগাঁ উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হলেও মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭১। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বমোট ভোট পড়েছিল ১,১৭,৬৯৭ ভোট।