গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সন্দেহজনকভাবে আটককৃত সেই পিকআপ ভর্তি চাল স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মোবাশ্বের হোসেন খুশির। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হাবিবুর রহমান গত ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত পিকআপ ভর্তি চাল সুন্দরগঞ্জ থানায় ৮৮২ নং জিডিমুলে সংরক্ষণ করা হয়। গত ১৮ মার্চ তারিখের উপজেলা নিবার্হী অফিসারের ২১৮ নং স্মারকের চিঠির আলোকে খাদ্য নিয়ন্ত্রক আটককৃত চাল পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এতে প্রমাণিত হয় যে সরকারি খাদ্য গুদামের চালের সাথে পিকআপ ভর্তি চালের কোন মিল নাই। সেইহেতু আটককৃত চাল ব্যবসায়ী মো. মোবাশ্বর হোসেন খুশির।
কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার আলম সরকার বলেন, একটি অসাধূ মহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে এহেন কর্মকান্ড করেছেন। প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে হেয় করা একজন ভাল মানুষের কাজ হতে পারে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিযার রহমান বলেন, আটককৃত চালের সাথে ভিজিএফ এর চালের কোন সর্ম্পক নেই। তদন্তে তা প্রমানিত হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিতরণকৃত ভিজিএফ এর চাল সন্দেহে ১৬ মার্চ রোববার দুপুরে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে পিকআপ ভর্তি সাড়ে পাঁচ মিট্রিকটন চাল আটক করে জনতা। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থি হয়ে আটককৃত চাল থানা সংরক্ষণ করেন।