গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৫নং দহবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে এক অপমৃত্যুর পরিবার কাছে থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়া থানার পূর্ব নরসিংহপুর গ্রামের সোবহার মাদবরের বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকতেন নরসিংদী থানার কলেজগেট ভুয়াবাড়ী গ্রামের মৃত খবিবুর ব্যাপারীর ছেলে মোবারক হোসেনের পরিবার। গত ২ এপ্রিল মোবারক হোসের মেয়ে তানিয়া আক্তার মনি (২১) নিজ শয়ন ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করে। তানিয়ার আত্মহত্যা নিয়ে কাহাও প্রতি কোন প্রকার সন্দেহ না থাকায় তার পরিবার অপমৃত্যু বিষয়টি আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। যার মামলা নং ৪৯/২৫। পরে থানার অনুমতিক্রমে তানিয়ার পরিবার লাশটি নিয়ে পরিচিত আত্মীয় বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে নুরুন্নবী মিয়ার বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করেন।
দাফনের কয়েকদিন পরে দহবন্দ ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা নুরুন্নবী মিয়ার বাড়িতে লাশটি দাফন সম্পর্কে বিষয়টি জানতে চায়। ঘটনার সত্যতা ও অপমৃত্যুর বিষয়টি শুনে নুরুন্নবী মিয়া এবং তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি, হুমকি প্রদান করে। পরে রাতে মোবাইল ফোনে নুরুন্নবী মিয়ার পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকার চাঁদার দাবি করেন ৫নং দহবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, একই ইউনিয়নের শ্রমিকদলের সভাপতি আইজল মিয়া ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আঙ্গুর সরকার।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দহবন্দ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন বাদশার নিকট জানতে চাইলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশে তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দিয়েছে। এ ধরনের কোন অনিয়মের সাথে তিনি জরিত নন বলে জানান।
এবিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বাবুল আহম্মেদ বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি শুনেছি একটি লিখিত অভিযোগ পেলে। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।